লগইন করুন
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«يُنْهَى عَنْ صِيَامَيْنِ، وَبَيْعَتَيْنِ: الفِطْرِ وَالنَّحْرِ، وَالمُلاَمَسَةِ وَالمُنَابَذَةِ»
“দু’দিনের সাওম ও দু’প্রকারের ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করা হয়েছে, ঈদুল ফিতর ও কুরবানীর (দিনের) সাওম এবং মুলামাসা (পণ্য স্পর্শ করলেই ক্রয় বাধ্য হয়ে যাওয়া)ও মুনাবাযা (ক্রেতার প্রতি নিক্ষেপ করলেই ক্রয় বাধ্য হওয়া) পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয় থেকে নিষেধ করা হয়েছে”।[1]
যিয়াদ ইবন জুবাইর রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَقَالَ: رَجُلٌ نَذَرَ أَنْ يَصُومَ يَوْمًا، قَالَ: أَظُنُّهُ قَالَ: الِاثْنَيْنِ، فَوَافَقَ ذَلِكَ يَوْمَ عِيدٍ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: أَمَرَ اللَّهُ بِوَفَاءِ النَّذْرِ وَنَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَوْمِ هَذَا اليَوْمِ»
“এক ব্যক্তি এসে ‘আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলল যে, এক ব্যক্তি কোনো এক দিনের সাওম পালন করার মানত করেছে, আমার মনে হয় সে সোমবারের কথা বলেছিল। ঘটনাক্রমে ঐ দিন ঈদের দিন পড়ে যায়। ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, আল্লাহ তা‘আলা মানত পুরা করার নির্দেশ দিয়েছেন আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ (ঈদের) দিনে সাওম পালন করতে নিষেধ করেছেন।”[2]
আবু সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে (সনদসহ) বর্ণিত, যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বারোটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তিনি বলেন,
«حَدَّثَنَا عَبْدُ المَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ قَزَعَةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الخُدْرِيَّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: وَكَانَ غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً قَالَ: سَمِعْتُ أَرْبَعًا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَعْجَبْنَنِي، قَالَ: لاَ تُسَافِرِ المَرْأَةُ مَسِيرَةَ يَوْمَيْنِ إِلَّا وَمَعَهَا زَوْجُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ، وَلاَ صَوْمَ فِي يَوْمَيْنِ: الفِطْرِ وَالأَضْحَى، وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَلاَ بَعْدَ العَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ، وَلاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلَّا إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ: مَسْجِدِ الحَرَامِ، وَمَسْجِدِ الأَقْصَى، وَمَسْجِدِي هَذَا»
“আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে চারটি কথা শুনেছি, যা আমার খুব ভাল লেগেছে। তিনি বলেছেন, স্বামী অথবা মাহরাম (যার সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ) পুরুষ ছাড়া কোনো নারী যেন দুই দিনের দূরত্বের সফর না করে। ঈদুল ফিতর ও কুরবানীর দিনে সাওম নেই। ফজরের সালাতের পরে সূর্যোদয় এবং ‘আসরের সালাতের পরে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো সালাত নেই। মসজিদে হারাম, মসজিদে আকসা ও আমার এই মসজিদ ব্যতীত অন্য কোনো মসজিদের উদ্দেশ্যে কেউ যেন সফর না করে।”[3]
>[2] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৯৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৩৯।
[3] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৯৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮২৭।