লগইন করুন
ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«مَا صَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهْرًا كَامِلًا قَطُّ غَيْرَ رَمَضَانَ، وَيَصُومُ حَتَّى يَقُولَ القَائِلُ: لاَ وَاللَّهِ لاَ يُفْطِرُ، وَيُفْطِرُ حَتَّى يَقُولَ القَائِلُ: لاَ وَاللَّهِ لاَ يَصُومُ»
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান ব্যতীত কোনো মাসে পুরা মাসের সাওম পালন করেন নাই। তিনি এমনভাবে (নফল) সাওম পালন করতেন যে, কেউ বলতে চাইলে বলতে পারতো, আল্লাহর কসম! তিনি আর সাওম পালন পরিত্যাগ করবেন না। আবার এমনভাবে (নফল) সাওম ছেড়ে দিতেন যে, কেউ বলতে চাইলে বলতে পারতো আল্লাহর কসম! তিনি আর সাওম পালন করবেন না”।[1]
হুমাইদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলতে শুনেছেন,
«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُفْطِرُ مِنَ الشَّهْرِ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يَصُومَ مِنْهُ، وَيَصُومُ حَتَّى نَظُنَّ أَنْ لاَ يُفْطِرَ مِنْهُ شَيْئًا، وَكَانَ لاَ تَشَاءُ تَرَاهُ مِنَ اللَّيْلِ مُصَلِّيًا إِلَّا رَأَيْتَهُ، وَلاَ نَائِمًا إِلَّا رَأَيْتَهُ وَقَالَ سُلَيْمَانُ، عَنْ حُمَيْدٍ، أَنَّهُ سَأَلَ أَنَسًا فِي الصَّوْمِ»
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো মাসে এভাবে সাওম ছেড়ে দিতেন যে, আমরা মনে করতাম, তিনি এ মাসে আর সাওম পালন করবেন না। আবার কোনো মাসে এভাবে সাওম পালন করতেন যে, আমরা মনে করতাম তিনি এ মাসে আর সাওম ছাড়বেন না। আর তুমি যদি তাঁকে রাতে সালাত আদায়রত অবস্থায় দেখতে চাইতে তবে তা দেখতে পেতে, আবার যদি তুমি তাঁকে ঘুমন্ত দেখতে চাইতে তবে তাও দেখতে পেতে। সুলায়মান রহ. হুমায়দ রহ. সূত্রে বলেন যে, তিনি আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে সাওম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন।”[2]
হুমাইদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নফল সাওমের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন,
«مَا كُنْتُ أُحِبُّ أَنْ أَرَاهُ مِنَ الشَّهْرِ صَائِمًا إِلَّا رَأَيْتُهُ، وَلاَ مُفْطِرًا إِلَّا رَأَيْتُهُ، وَلاَ مِنَ اللَّيْلِ قَائِمًا إِلَّا رَأَيْتُهُ، وَلاَ نَائِمًا إِلَّا رَأَيْتُهُ، وَلاَ مَسِسْتُ خَزَّةً وَلاَ حَرِيرَةً، أَلْيَنَ مِنْ كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلاَ شَمِمْتُ مِسْكَةً، وَلاَ عَبِيرَةً أَطْيَبَ رَائِحَةً مِنْ رَائِحَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
“যে কোনো মাসে আমি তাঁকে সাওম পালনরত অবস্থায় দেখতে চেয়েছি, তাঁকে সে অবস্থায় দেখেছি, আবার তাঁকে সাওম পালন না করা অবস্থায় দেখতে চাইলে তাও দেখতে পেয়েছি। রাতে যদি তাঁকে সালাত আদায়রত অবস্থায় দেখতে চেয়েছি, তা প্রত্যক্ষ করেছি। আবার ঘুমন্ত দেখতে চাইলে তাও দেখতে পেয়েছি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাত মোবারক থেকে নরম কোনো পশমী বা রেশমী কাপড় স্পর্শ করি নি। আর আমি তাঁর (শরীরের) ঘ্রাণ থেকে অধিক সুগন্ধযুক্ত কোনো মিশক বা আম্বর পাই নি”।[3]
আব্দুল্লাহ ইবন শাকীক রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«سَأَلْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، عَنْ صَوْمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: كَانَ يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ: قَدْ صَامَ، قَدْ صَامَ، وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ: قَدْ أَفْطَرَ، قَدْ أَفْطَرَ، قَالَتْ: وَمَا رَأَيْتُهُ صَامَ شَهْرًا كَامِلًا، مُنْذُ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، إِلَّا أَنْ يَكُونَ رَمَضَانَ»
“আমি ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাওম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তিনি সাওম পালন করতেন, এমনকি আমরা বলতাম তিনি সাওম পালন করেই যাবেন। আবার তিনি ইফতার অবস্থায় থাকতেন এমনকি আমরা বলাবলি করতাম, তিনি সাওম ভঙ্গ করেই চলেছেন (আর সাওম পালন করবেন না)। তিনি (আরও) বলেন, মদীনায় তাশরীফ নেওয়া পর্যন্ত আমি তাঁকে রমযান ব্যতীত পূর্ণ মাস সাওম পালন করতে দেখি নি।”[4]
‘আব্দুল্লাহ ইবন শাকীক রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«قُلْتُ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: هَلْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ شَهْرًا مَعْلُومًا سِوَى رَمَضَانَ؟ قَالَتْ: وَاللهِ، إِنْ صَامَ شَهْرًا مَعْلُومًا سِوَى رَمَضَانَ، حَتَّى مَضَى لِوَجْهِهِ، وَلَا أَفْطَرَهُ حَتَّى يُصِيبَ مِنْهُ»
“আমি ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান ব্যতীত অন্য কোনো সময়ে পূর্ণ মাস সাওম পালন করেছেন কি? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! রমযান ব্যতীত অন্য সময়ে তিনি পূর্ণ মাস সাওম পালন করেন নি, এমনকি তিনি ইন্তেকাল করেছেন। আবার পুরো মাসও সাওম ভঙ্গকারী হতেন না, বরং তা থেকে কিছু না কিছু সাওম পালন করতেন।”[5]
>[2] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৭২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৫৮।
[3] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯৭৩, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৫৮।
[4] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৫৬।
[5] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৫৬।