লগইন করুন
সালাত আউওয়াবীন (صلاة الأوابين) জমহুর আলেমদের কাছে সালাতুদ-দুহা (صلاة الضحى) নামে পরিচিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সালাতুল আউওয়াবীন এ দু’নামে পরিচিত। আল্লামা ‘আইনী রহ. বলেন,
وَالضُّحَى، بِالضَّمِّ وَالْقصر: فَوق الضحوة، وَهِي ارْتِفَاع أول النَّهَار، و: الضحاء، بِالْفَتْح وَالْمدّ هُوَ إِذا علت الشَّمْس إِلَى ربع السَّمَاء فَمَا بعده.
“আদ-দুহা (الضُّحَى) শব্দটি দম্মা ও কাসরা উভয় হরকত দিয়েই পড়া যায়। সকালের সূর্য কিরণ। পূর্বাহ্নের প্রথম প্রহর, সূর্য যখন উদিত হয়। আর দুহা শব্দকে ফাতহা বা মাদ দিয়ে পড়লে অর্থ হবে, সূর্য যখন আকাশের এক-চতুর্থাংশে অবস্থান করে বা এর পরের সময়।”[1]
মুল্লা ‘আলী ক্বারী রহ. বলেন,
قال الطيبي: المراد وقت الضحى، وهو صدر النهار حين ترتفع الشمس وتلقي شعاعها اهـ. قيل: التقدير صلاة وقت الضحى، والظاهر أن إضافة الصلاة إلى الضحى بمعنى " في " كصلاة الليل وصلاة النهار. وقيل: وقت الضحى عند مضي ربع اليوم إلى قبيل الزوال، وقيل: هذا وقته المتعارف، وأما وقته فوقت صلاة الإشراق، وقيل: الإشراق أول الضحى.
“আল্লামা ত্বীবী রহ. বলেছেন, সালাতুদ-দুহা পরিচ্ছেদ দ্বারা মূলত উদ্দেশ্য হলো সালাতুদ-দুহার ওয়াক্ত বর্ণনা করা। আর এ সালাতের সময় হলো দিনের প্রথমভাগে সূর্য যখন আকাশের উদিত হয় এবং সূর্যের কিরণ বিচ্ছুরিত হয়। কেউ কেউ বলেছেন, এখানে ওয়াক্ত শব্দটি উহ্য আছে। মূলত পরিচ্ছেদের নাম হবে صلاة وقت الضحى। প্রকৃতপক্ষে, সালাতকে দুহা-এর সাথে সম্পৃক্ত করা যেমন সালাতুল লাইল, সলাতুন্নাহারকে সম্পৃক্ত করা হয়। দুহার সালাতের সময় হলো দিনের এক-চতুর্থাংশ আর শেষ হলো সূর্য হেলা যাওয়া পর্যন্ত। কেউ কেউ বলেন, এটাই এ সালাতের প্রসিদ্ধ সময়। ইশরাকের সালাতের ওয়াক্তই দুহার ওয়াক্ত। কেউ কেউ বলেন, ইশরাক হলো দুহার প্রথম ওয়াক্ত।”[2] মূলকথা হলো, সালাতুদ-দুহা, সালাতুল আউওয়াবীন, সালাতুল ইশরাক বলতে একই সালাতকে বুঝানো হয়েছে। হাদীসে একই সালাতের বিভিন্ন নাম এসেছে। আর এর সময় হলো সূর্য যখন আকাশের এক-চতুর্থাংশে উদিত হবে এবং পশ্চিম আকাশে ঢলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এ সালাতের সময় অব্যহত থাকে। আধুনিক হিসেব অনুযায়ী, সূর্যোদয়ের ১৫ মিনিট পরে, কারো মতে, ২৩ মিনিট পরে সালাতুদ-দুহা শুরু হয় এবং সূর্য ঢলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তথা যোহর ওয়াক্তের ১৫ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত এ সালাতের সময়।
>[2] মিরকাতুল মাফাহীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, মুল্লা ‘আলী ক্বারী, ৩/৯৭৭।