লগইন করুন
উত্তর: যে ব্যক্তি রামাযানের সিয়াম পরিত্যাগ করে এ যুক্তিতে যে, সে নিজের এবং পরিবারের জীবিকা উপার্জনে ব্যস্ত। সে যদি এ তা’বীল বা ব্যাখ্যা করে যে, অসুস্থ ব্যক্তি যেমন সাওম ভঙ্গ না করলে বেঁচে থাকতে অক্ষম তেমনি আমিও তো দরিদ্র অভাবী, জীবিকা উপার্জন করতে হলে আমাকে সাওম ভঙ্গ করতে হবে, তবে এ যুক্তি খোঁড়া এবং নিঃসন্দেহে এ ব্যক্তি মূর্খ। অতএব, অজ্ঞতার কারণে এবং অপব্যাখ্যার কারণে সে উক্ত সময়ের কাযা আদায় করবে যদি সে জীবিত থাকে। জীবিত না থাকলে তার পরিবার তার পক্ষ থেকে কাযা আদায় করে দিবে। কেউ কাযা আদায় না করলে তার পক্ষ থেকে প্রতিদিনের বিনিময়ে একজন করে মিসকীনকে খাদ্য খাওয়াবে।
কিন্তু যদি কোনো ধরণের ব্যাখ্যা না করে ইচ্ছাকৃতভাবে সিয়াম পরিত্যাগ করে থাকে, তবে বিদ্বানদের মতামতসমূহের মধ্যে থেকে বিশুদ্ধ মত হচ্ছে, সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ইবাদতসমূহ বিনা ওযরে ইচ্ছাকৃতভাবে সময় অতিবাহিত করে আদায় করলে তা কবূল হবে না। তাই এ লোকের ওপর আবশ্যক হচ্ছে, আল্লাহর কাছে তওবা করা, নেক আমল ও নফল ইবাদতসমূহ বেশি বেশি সম্পাদন করা ও ইস্তেগফার করা। এর দলীল হচ্ছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدّ “যে ব্যক্তি এমন আমল করবে যাতে আমাদের নির্দেশনা নেই। তবে তা প্রত্যাখ্যাত।”[1] সময়ের সাথে নির্দিষ্ট ইবাদতসমূহ যেমন সময়ের পূর্বে আদায় করলে কবূল হবে না। অনুরূপভাবে সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তা গ্রহণীয় হবে না। কিন্তু যদি অজ্ঞতা বা ভুলের কোনো ওযর থাকে, তবে ভুল সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ نَسِيَ صَلَاةً أو نام عنها فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا لَا كَفَّارَةَ لَهَا إِلَّا ذَلِكَ»
“যে ব্যক্তি সালাত আদায় না করে ঘুমিয়ে থাকে বা ভুলে যায়, তবে স্মরণ হলেই সে তা আদায় করবে। এটাই তার কাফফারা।”[2]
[2] সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: মসজিদ ও সালাতের স্থান, অনুচ্ছেদ: ছুটে যাওয়া সালাত কাযা আদায় করা।