লগইন করুন
এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর উপর যে বিষয়টি সবচেয়ে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে তা হলো পরিবার গঠন ও তাকে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাঁর প্রজ্ঞায় পরিবারকে পুরুষ ও নারী নির্বিশেষ সকল মানুষের জন্য তৈরি করেছেন প্রত্যাবর্তনস্থল হিসেবে; যাতে সে অবস্থান করবে এবং সেখানে প্রশান্তি অনুভব করবে; আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি এ অনুগ্রহ প্রকাশ করে বলেন:
﴿ وَمِنۡ ءَايَٰتِهِۦٓ أَنۡ خَلَقَ لَكُم مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ أَزۡوَٰجٗا لِّتَسۡكُنُوٓاْ إِلَيۡهَا وَجَعَلَ بَيۡنَكُم مَّوَدَّةٗ وَرَحۡمَةًۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ ٢١ ﴾ [الروم: ٢١]
“আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জোড়া; যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং সৃজন করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও সহমর্মিতা। নিশ্চয় এতে বহু নিদর্শন রয়েছে সে সম্প্রদায়ের জন্য, যারা চিন্তা করে।” - (সূরা আর-রূম, আয়াত: ২১ )।
হ্যাঁ, আল্লাহ বলেছেন: ‘যাতে সে তার কাছে শান্তি পায়’; তিনি বলেন নি: ‘যাতে সে তার সাথে বাস করে’, সুতরাং আল্লাহর এ বাণীর দাবী হচ্ছে যে, পরিবারের আচার-আচরণ হবে স্থিতিশীল আর অনুভূতি হবে প্রশান্তির কেন্দ্রবিন্দু। সেখানে সর্বোচ্চ অর্থে শান্তি ও নিশ্চিন্ততা প্রতিষ্ঠিত হবে। সুতরাং স্বামী-স্ত্রীর প্রত্যেকেই তার সঙ্গীর মধ্যে অস্থিরতার সময় প্রশান্তি এবং সঙ্কটময় মুহূর্তে আনন্দ অনুভব করবে।
দাম্পত্য জীবনের সম্পর্কের মূলভিত্তি হল: ভালোবাসা, ঘনিষ্টতা ও সখ্যতার উপর প্রতিষ্ঠিত সাহচর্য ও মিলন। এ সম্পর্কের শিকড় অনেক গভীরে, বিস্তৃতি অনেক দূর ব্যপ্ত, স্বয়ং ব্যক্তির সাথে তার আত্মার যে সম্পর্ক, এটা তার সাথে খুব চমৎকারভাবে তুলনাযোগ্য, যা আমাদের প্রতিপালকের কিতাব বর্ণনা করেছে, তিনি বলেছেন:
﴿ هُنَّ لِبَاسٞ لَّكُمۡ وَأَنتُمۡ لِبَاسٞ لَّهُنَّۗ ﴾ [البقرة: ١٨٧]
“তারা তোমাদের পোষাকস্বরূপ এবং তোমরাও তাদের পোষাকস্বরূপ।” - ( সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৭ )।
তাছাড়া এই সম্পর্ক ছেলে ও মেয়েদের শিক্ষা এবং লালনপালন দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে যা গঠন করে, তা স্নেহপূর্ণ মাতৃত্ব ও শ্রমনির্ভর পিতৃত্বের ছায়াতল ছাড়া হতে পারে না।
এ সম্মানিত পারিবারিক পরিবেশের চেয়ে আর কোন পরিবেশ অধিক পবিত্র হতে পারে?