কোন ভুল থাকলে সেটি রিপোর্ট করার জন্য অনুগ্রহ করে লগইন করুন।
লগইন করুন
লগইন করুন
হজে প্রদত্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফাতাওয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদত্ত ফাতাওয়াসমূহ ইসলামহাউজ.কম
ফাতওয়া: ৩৭
ধুবা‘আহ বিনতে যুবায়ের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি হজ করতে চাই কিন্তু অসুস্থ? তিনি বললেন: হজ কর ও শর্ত কর, যেখানে আমাকে বাধাগ্রস্ত করা হয় সেখানে আমি থেমে যাবো”।[1] আয়েশা সূত্রে বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেন।
> [1] সাধারণ হালতে হজের শুরুতে শর্ত করার নিয়ম নেই, কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ কিংবা ওমরায় শর্ত করেন নি। হুদাইবিয়ার সময়ও বলেন নি বাধা যেখানে রুখে দিবে সেখানে আমার হজ সমাপ্ত হবে। কোনো সাহাবীকে তিনি শর্ত করার নির্দেশ করেননি। হ্যাঁ, যে নারী ফতোয়া চেয়েছে তাকে তিনি শর্ত করার পরামর্শ দেন, কারণ সে শঙ্কিত ছিল হয়তো রোগ বেড়ে গেলে হজ অপূর্ণ থেকে যাবে। অতএব, হজযাত্রী যদি রোগ, অর্থ-সঙ্কট, শত্রু বা কোনো কারণে হজ বা ওমরা পূর্ণ করার ব্যাপারে সন্দিহান হয় শর্ত করে নিবে, যেরূপ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। সাহাবীদের মাঝে হজের শুরুতে শর্ত করার রেওয়াজ ছিল। ইমাম শাফে‘ঈ ও বায়হাকী সহি সনদে বর্ণনা করেন, সুওআইদ ইবন গাফলাহ বলেন: “উমর ইবনুল খাত্তাব আমাকে বলেন, হে আবু উমাইয়্যাহ, হজ কর ও শর্ত কর। কারণ, যেভাবে শর্ত করবে সেভাবে আবশ্যক হবে এবং তোমার ওপর আল্লাহর তাই পাওনা হবে যার তুমি শর্ত করবে”। মাজমুউল ফতোয়া: (৮/৩০৯)।
ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এক ব্যক্তিকে বলেন: “হজ কর ও শর্ত কর এবং বল: হে আল্লাহ তোমার জন্য হজের ইচ্ছা করছি যদি সম্ভব হয়, অন্যথায় ওমরা করে ক্ষান্ত হবো”। বায়হাকি হাসান ও সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। দেখুন: মাজমুউল ফতোয়া: (৮/৩০৯)।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি উরওয়াকে বলেন: “তুমি যখন হজ কর ইস্তেসনা (শর্ত) কর কি? উরওয়া বলেন: কিভাবে করবো? তিনি বলেন, বল: হে আল্লাহ হজের দৃঢ় সংকল্প করেছি, যদি আপনি সহজ করেন হজ হবে, আর বাধার সম্মুখীন হলে ওমরা হবে”। বাণীটি বুখারী ও মুসলিমের ন্যায় সহীহ সনদে বায়হাকি ও শাফে‘ঈ বর্ণনা করেছেন।
শর্ত করার ফায়দা: হজযাত্রী যদি শর্ত করে মক্কায় পৌঁছতে সক্ষম না হয় বাধার স্থানে হালাল হয়ে যাবে, হাদি, ফিদিয়া, সিয়াম, কাযা ও মাথামুণ্ডন ইত্যাদির প্রয়োজন নেই। শর্ত না করে বাধাগ্রস্ত হলে ‘মুহসার’ হবে, হারামের এলাকায় তার হাদি জবেহ করা জরুরি যদি সম্ভব হয়, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ فَإِنۡ أُحۡصِرۡتُمۡ فَمَا ٱسۡتَيۡسَرَ مِنَ ٱلۡهَدۡيِۖ وَلَا تَحۡلِقُواْ رُءُوسَكُمۡ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ ٱلۡهَدۡيُ مَحِلَّهُۥۚ ١٩٦ ﴾ [البقرة: ١٩٦]
“অতঃপর যদি তোমরা আটকে পড়, তবে যে পশু সহজ হবে (যবেহ কর), আর তোমরা তোমাদের মাথামুণ্ডন করো না, যতক্ষণ না পশু তার যথাস্থানে পৌঁছে”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৬] যদি হারামে জবেহ করা সম্ভব না হয় বাধাপ্রাপ্ত স্থানেই জবেহ ও মাথামুণ্ডন করা জরুরি, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদাইবিয়ায় করেছেন, যখন কাফেররা তাকে মক্কায় প্রবেশে বাধা দিয়েছিল। তিনি হাদি নহর শেষে মাথামুণ্ডন করেন, সাহাবীদের তার নির্দেশ দেন:
«قوموا فانحروا ثم احلقوا».
“তোমরা দাঁড়াও, নহর কর, অতঃপর মাথামুণ্ডন কর”। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭৩৪।
শর্ত করার পর ওমরা বা হজ পূর্ণ করা সম্ভব না হলে কাযা করা জরুরি নয়, তবে হজ ফরয হলে কাযা করা জরুরি। আল্লাহ ভালো জানেন। -অনুবাদক।
ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এক ব্যক্তিকে বলেন: “হজ কর ও শর্ত কর এবং বল: হে আল্লাহ তোমার জন্য হজের ইচ্ছা করছি যদি সম্ভব হয়, অন্যথায় ওমরা করে ক্ষান্ত হবো”। বায়হাকি হাসান ও সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। দেখুন: মাজমুউল ফতোয়া: (৮/৩০৯)।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি উরওয়াকে বলেন: “তুমি যখন হজ কর ইস্তেসনা (শর্ত) কর কি? উরওয়া বলেন: কিভাবে করবো? তিনি বলেন, বল: হে আল্লাহ হজের দৃঢ় সংকল্প করেছি, যদি আপনি সহজ করেন হজ হবে, আর বাধার সম্মুখীন হলে ওমরা হবে”। বাণীটি বুখারী ও মুসলিমের ন্যায় সহীহ সনদে বায়হাকি ও শাফে‘ঈ বর্ণনা করেছেন।
শর্ত করার ফায়দা: হজযাত্রী যদি শর্ত করে মক্কায় পৌঁছতে সক্ষম না হয় বাধার স্থানে হালাল হয়ে যাবে, হাদি, ফিদিয়া, সিয়াম, কাযা ও মাথামুণ্ডন ইত্যাদির প্রয়োজন নেই। শর্ত না করে বাধাগ্রস্ত হলে ‘মুহসার’ হবে, হারামের এলাকায় তার হাদি জবেহ করা জরুরি যদি সম্ভব হয়, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ فَإِنۡ أُحۡصِرۡتُمۡ فَمَا ٱسۡتَيۡسَرَ مِنَ ٱلۡهَدۡيِۖ وَلَا تَحۡلِقُواْ رُءُوسَكُمۡ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ ٱلۡهَدۡيُ مَحِلَّهُۥۚ ١٩٦ ﴾ [البقرة: ١٩٦]
“অতঃপর যদি তোমরা আটকে পড়, তবে যে পশু সহজ হবে (যবেহ কর), আর তোমরা তোমাদের মাথামুণ্ডন করো না, যতক্ষণ না পশু তার যথাস্থানে পৌঁছে”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৬] যদি হারামে জবেহ করা সম্ভব না হয় বাধাপ্রাপ্ত স্থানেই জবেহ ও মাথামুণ্ডন করা জরুরি, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদাইবিয়ায় করেছেন, যখন কাফেররা তাকে মক্কায় প্রবেশে বাধা দিয়েছিল। তিনি হাদি নহর শেষে মাথামুণ্ডন করেন, সাহাবীদের তার নির্দেশ দেন:
«قوموا فانحروا ثم احلقوا».
“তোমরা দাঁড়াও, নহর কর, অতঃপর মাথামুণ্ডন কর”। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭৩৪।
শর্ত করার পর ওমরা বা হজ পূর্ণ করা সম্ভব না হলে কাযা করা জরুরি নয়, তবে হজ ফরয হলে কাযা করা জরুরি। আল্লাহ ভালো জানেন। -অনুবাদক।