লগইন করুন
উত্তর: সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিতভাবে যেসব নবীদের নবুওয়ত ও রিসালাত সাব্যস্ত হয়েছে সে সব নবীদের প্রতি আমরা ঈমান আনয়ন করি এবং বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ অহী ও রিসালাতের মাধ্যমে তাদেরকে নির্বাচিত করেছেন এবং তাঁর নিজের ও সৃষ্টির মাঝে তাঁর দীন ও শরী‘আত পৌঁছানোর জন্য তাদেরকে মাধ্যম হিসেবে নিয়োজিত করেছেন। তাদের আনিত বিষয়ের সত্যায়ন ও সঠিকতা প্রমাণের জন্য তিনি তাদেরকে মু‘জিযা দিয়ে সাহায্য করেছেন। তারা জ্ঞান-গরিমা ও আমলের দিক থেকে সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ ও পরিপূর্ণ সৃষ্টি, তারা সর্বাধিক সত্যবাদী, সবচেয়ে সৎ ব্যক্তি ও সর্বোচ্চ সচ্চরিত্রবান। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে এমন সৎ গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য দিয়ে নির্বাচিত করেছেন যা অন্যদের স্পর্শ করা সম্ভব নয়। আল্লাহ তাদেরকে সমস্ত অসচ্চরিত্র থেকে পবিত্র রেখেছেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে তারা যে দাওয়াত পৌঁছেছেন সে ব্যাপারে মাসূম তথা নিষ্পাপ ও নিষ্কলঙ্ক ছিলেন।
তারা তাদের দাওয়াত ও তাবলীগে সত্য ও সঠিকটাই প্রচার করেছেন। তাদের সকলের প্রতি ও তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে যা নিয়ে এসেছেন সেগুলোর ওপর ঈমান আনা, তাদেরকে ভালোবাসা, সম্মান করা ও মর্যাদা প্রদান করা ফরয। আমরা আরও বিশ্বাস করি যে, এসব কাজ আমাদের নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাপারে করা (তার প্রতি ও তার আনিত সব কিছুর ওপর ঈমান আনা, তাকে সম্মান করা ইত্যাদি) আরও অধিক গুরুত্বপূর্ণ ফরয। তাকে জানা, সাধ্যানুসারে তার আনিত শরী‘আত সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিতভাবে জানা, এসবের প্রতি ঈমান আনা ও সর্বদা অটুট থাকা ফরয। তার আনিত সকল বিষয়ে আনুগত্য করা, তার আদেশ মান্য করা ও নিষেধ থেকে বিরত থাকাও ফরয। আমরা আরও বিশ্বাস করি যে, তিনি খাতামুন নাবিয়্যীন তথা সর্বশেষ নবী, তার পরে আর কোনো নবী আসবেন না, তার শরী‘আত পূর্বের সব শরী‘আতকে রহিত করে দিয়েছে, তার শরী‘আত কিয়ামত পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকবে। বান্দার ঈমান ততক্ষণ পূর্ণ হবে না যতক্ষণ সে বিশ্বাস করবে যে, মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনিত সব কিছুই সত্য। আক্বলী (বিবেকপ্রসূ), ইন্দ্রিয় ও সব ধরণের দলীল প্রমাণ তার আনিত সত্যের বিপরীত প্রমাণ করতে পারবে না; বরং সঠিক বিবেক ও বাস্তব দৃশ্যমান বিষয়াদি তার সত্যতা ও সঠিকতার সাক্ষ্য প্রদান করে।