লগইন করুন
আখেরাতের সন্ধানে ব্যস্ত সচেষ্ট মুমিনগণ রাতের বেলায় খুব কমই ঘুমান; কারণ, তারা রাতের বেলায় নফল ইবাদতে তৎপর থাকেন; ফলে তাদের চেহারা হয়ে যায় উজ্জ্বল এবং অন্তর হয়ে যায় পবিত্র। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿ إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي جَنَّٰتٖ وَعُيُونٍ ١٥ ءَاخِذِينَ مَآ ءَاتَىٰهُمۡ رَبُّهُمۡۚ إِنَّهُمۡ كَانُواْ قَبۡلَ ذَٰلِكَ مُحۡسِنِينَ ١٦ كَانُواْ قَلِيلٗا مِّنَ ٱلَّيۡلِ مَا يَهۡجَعُونَ ١٧ وَبِٱلۡأَسۡحَارِ هُمۡ يَسۡتَغۡفِرُونَ ١٨ ﴾ [الذاريات: ١٥، ١٨]
“নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতসমূহে ও ঝর্ণাধারায়, গ্রহণ করবে তা যা তাদের রব তাদেরকে দিবেন; নিশ্চয় ইতোপূর্বে তারা ছিল সৎকর্মশীল, তারা রাতের সামান্য অংশই অতিবাহিত করত নিদ্রায়, আর রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত।”[1]
আর ‘কিয়ামুল লাইল’ তথা রাতের বেলায় নফল ইবাদতের ফযীলত এবং মুসলিম ব্যক্তির আচার-আচরণ ও তার ভবিষ্যৎ জীবনের উপর তার প্রভাব প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
« عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ ، فَإِنَّهُ دَأْبُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ ، وَقُرْبَةٌ إِلَى اللَّهِ ، وَمَنْهَاةٌ عَنِ الإِثْمِ ، وَتَكْفِيرٌ لِلسَّيِّئَاتِ ، وَمَطْرَدَةٌ لِلدَّاءِ مِنَ الْجَسَدِ » . (أخرجه الحاكم و البيهقي) .
“তোমাদের কর্তব্য হলো রাত জেগে নফল ইবাদত করা; কারণ, তা তোমাদের পূর্ববর্তী সৎব্যক্তিগণের স্বভাব ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায়; আর পাপকাজ থেকে বিরত রাখে, গুনাহসমূহ মোচন করে এবং শরীর থেকে রোগ-ব্যাধি দূর করে।”[2]
>[2] হাকেম (১/৩০৮), বায়হাকী (২/৫০২) ও অন্যান্য মুহাদ্দিস প্রমুখ হাদিসটি আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন।
আমি বলি: হাদিসটির সনদের মধ্যে সামান্য দুর্বলতা রয়েছে, তবে হাদিসটি ‘হাসান’ পর্যায়ের, যেমনটি ব্যাখ্যা করেছেন আমাদের শাইখ আলবানী রহ., দেখুন: ইরওয়াউল গালীল ( إرواء الغليل ): ৪৫২
আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: « وَزِيَادَةُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ » -এর অর্থ: সৎকাজের প্রতিদান হল তার দশ গুণ; সুতরাং এক জুমু‘আ থেকে আরেক জুমু‘আ পর্যন্ত হল সাত দিন এবং তার সাথে অতিরিক্ত তিন দিন মিলে মোট দশ দিন, আর আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা তাঁর অনুগ্রহ দান করেন।