কোন ভুল থাকলে সেটি রিপোর্ট করার জন্য অনুগ্রহ করে লগইন করুন।
লগইন করুন
লগইন করুন
কুরআনে কারীম ও সহীহ সুন্নাহর আলোকে গুনাহ্ মাফের আমল ৪. সালাতের অধ্যায় ইসলামহাউজ.কম
৪. ৩. এক মা‘বুদ (আল্লাহ) এর উদ্দেশ্যে সাজদা করা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বাস্তব বিষয়টিকে জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন বিভিন্ন প্রকার শব্দ চয়নে; তন্মধ্যে সাজদার ফযীলতের বর্ণনাটি অন্যতম; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
« يَا أَبَا فَاطِمَةَ ! أَكْثِرْ مِنْ السُّجُودِ ، فَإِنَّهُ لَيْسَ مِنْ مُسْلِمٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى سَجْدَةً إِلَّا رَفَعَهُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى بِهَا دَرَجَةً [ فِي الجَنةِ و حط عنه بها خطيئةٌ ] » . (رواه أحمد و ابن ماجه) .
“হে আবূ ফাতিমা! বেশি বেশি সাজদা কর; কারণ, যে কোনো মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলার উদ্দেশ্যে সাজদা করলে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলার তার বিনিময়ে জান্নাতে তার মর্যাদা উন্নত করেন এবং তার বিনিময়ে তার গুনাহ্ মাফ করেন।”[1]
[1] ইমাম আহমাদ রহ. হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং হাদিসের শব্দগুলো তাঁর: (৩/৪২৮); ইবনু সা‘য়াদ, ‘আত-ত্ববাকাত আল-কুবরা’: (৭/৫০৮)।
ইবনু লাহি‘য়াহ’র সনদে হাদিসটি বর্ণিত, তিনি বলেন: আমাদের নিকট হারেস ইবন ইয়াযিদ তার উস্তাদ কাছীর আল-আ‘রাজ আস-সাদাফী থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন: আমি আবূ ফাতিমাকে (তিনি যুল ফাওয়ারী বলে পরিচিত) বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন এবং তিনি হাদিসটি উল্লেখ করনে।
আমি বলি: এই সনদের বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য; কেননা, ইবনু লাহি‘য়াহ হাদিস বর্ণনার বিষয়টি ‘হাদ্দাসানা’ স্পষ্ট করে বলেছেন; আর তার নিকট থেকে বর্ণনাকারী ইবনু সা‘য়াদ হলেন আবূ আবদির রহমান আল-মুকরী’, যিনি আবদুল্লাহ গ্রুপের অন্যতম একজন, তার থেকে যাদের বর্ণিত বর্ণনাসমূহ বিশুদ্ধ বলে স্বীকৃত।
তবে কাছীর ইবন কুলাইব মিসরী অপরিচিত, যেমনটি ইমাম যাহাবী রহ. বলেছেন। আর হাদিসটি কাছীর ইবন মুর্রাহ-এর বর্ণনার কারণে ‘মাহফুয’, যেমনটি হাফেয ইবনু হাজার ‘আসকালানী রহ. ‘আত-তাহযীব’ গ্রন্থের মধ্যে বলেছেন।
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ রহ. বর্ণনা করেছেন, হাদিস নং- ১৪২২ এবং ইমাম নাসায়ী রহ. ‘আল-কুবরা’ নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন: (৯/২৪০ — “তুহফাতুল আশরাফ”); তাঁরা তাঁর থেকে দু’টি সনদে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
আমি বলি: কাছীর ইবন মুর্রাহ আল-হাদরামী বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী; সুতরাং হাদিসটি সহীহ (আল-হামদুলিল্লাহ)। তাছাড়া হাদিসটির সমর্থনে সাওবান, আবূ দারদা ও ‘উবাদাতা ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম থেকে সহীহ হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
ইবনু লাহি‘য়াহ’র সনদে হাদিসটি বর্ণিত, তিনি বলেন: আমাদের নিকট হারেস ইবন ইয়াযিদ তার উস্তাদ কাছীর আল-আ‘রাজ আস-সাদাফী থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন: আমি আবূ ফাতিমাকে (তিনি যুল ফাওয়ারী বলে পরিচিত) বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন এবং তিনি হাদিসটি উল্লেখ করনে।
আমি বলি: এই সনদের বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য; কেননা, ইবনু লাহি‘য়াহ হাদিস বর্ণনার বিষয়টি ‘হাদ্দাসানা’ স্পষ্ট করে বলেছেন; আর তার নিকট থেকে বর্ণনাকারী ইবনু সা‘য়াদ হলেন আবূ আবদির রহমান আল-মুকরী’, যিনি আবদুল্লাহ গ্রুপের অন্যতম একজন, তার থেকে যাদের বর্ণিত বর্ণনাসমূহ বিশুদ্ধ বলে স্বীকৃত।
তবে কাছীর ইবন কুলাইব মিসরী অপরিচিত, যেমনটি ইমাম যাহাবী রহ. বলেছেন। আর হাদিসটি কাছীর ইবন মুর্রাহ-এর বর্ণনার কারণে ‘মাহফুয’, যেমনটি হাফেয ইবনু হাজার ‘আসকালানী রহ. ‘আত-তাহযীব’ গ্রন্থের মধ্যে বলেছেন।
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ রহ. বর্ণনা করেছেন, হাদিস নং- ১৪২২ এবং ইমাম নাসায়ী রহ. ‘আল-কুবরা’ নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন: (৯/২৪০ — “তুহফাতুল আশরাফ”); তাঁরা তাঁর থেকে দু’টি সনদে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
আমি বলি: কাছীর ইবন মুর্রাহ আল-হাদরামী বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী; সুতরাং হাদিসটি সহীহ (আল-হামদুলিল্লাহ)। তাছাড়া হাদিসটির সমর্থনে সাওবান, আবূ দারদা ও ‘উবাদাতা ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম থেকে সহীহ হাদিস বর্ণিত হয়েছে।