লগইন করুন
দুর্বল ঈমানের অনেক মানুষই পাপাচারী ও দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় উঠাবসা করে। এমনকি আল্লাহর দীন ও তার অনুসারীদের প্রতি যারা অহরহ ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে, তাদের সঙ্গেও তারা দহরম-মহরম সম্পর্কে রেখে চলে, তাদের মোসাহেবী করে। অথচ এ কাজ যে হারাম তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَإِذَا رَأَيۡتَ ٱلَّذِينَ يَخُوضُونَ فِيٓ ءَايَٰتِنَا فَأَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ حَتَّىٰ يَخُوضُواْ فِي حَدِيثٍ غَيۡرِهِۦۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ ٱلشَّيۡطَٰنُ فَلَا تَقۡعُدۡ بَعۡدَ ٱلذِّكۡرَىٰ مَعَ ٱلۡقَوۡمِ ٱلظَّٰلِمِينَ ٦٨ ﴾ [الانعام: ٦٨]
“যখন আপনি তাদেরকে আমার কোনো আয়াত বা বিধান সম্পর্কে উপহাসমূলক আলোচনায় মগ্ন দেখতে পান তখন আপনি তাদের থেকে সরে থাকুন, যে পর্যন্ত না তারা অন্য প্রসঙ্গে লিপ্ত হয়। আর যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয়, তাহলে স্মরণে আসার পর যালিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে আপনি আর বসবেন না”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ৬৮]
সুতরাং ফাসিক-মুনাফিকদের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক যত গভীরই হউক কিংবা তাদের সাথে সমাজ-সামাজিকতায় যতই মজা লাগুক এবং তাদের কণ্ঠ যতই মধুর হউক তাদের সঙ্গে উঠাবসা করা বৈধ নয়।
হ্যাঁ, যে ব্যক্তি তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত প্রদান করে, তাদের বাতিল আকীদার প্রতিবাদ করে কিংবা তাদেরকে অন্যায় থেকে নিষেধ করার জন্য তাদের নিকট গমনাগমন করে সে উক্ত নির্দেশের আওতাভুক্ত হবে না। স্বেচ্ছায়, খুশীমনে ও কোনো কিছু না বলে নীরবে তাদের সাথে তাল মিলিয়ে রাখাতেই সব সমস্যা। অন্যত্র আল্লাহতা‘আলা বলেন,
﴿فَإِن تَرۡضَوۡاْ عَنۡهُمۡ فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا يَرۡضَىٰ عَنِ ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡفَٰسِقِينَ ٩٦﴾ [التوبة: ٩٦]
“যদি তোমরা তাদের প্রতি সন্তুষ্টও থাক, তবে (জেনে রেখ) আল্লাহ ফাসিক বা দৃষ্কৃতিকারী সম্প্রদায়ের প্রতি সন্তুষ্ট নন”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৯৬]