লগইন করুন
উত্তর: বল,শরী‘য়াতের দলীল ব্যতীত বান্দা যা দিয়ে তার রবের ইবাদত করে তাকেই বিদ‘আত বলা হয়। এটি দুই প্রকার। (১) কাফিরে পরিণতকারী বিদ‘আত: যেমন কবরবাসীর নৈকট্য হাসিল করার জন্যে কবরের চারপাশে তাওয়াফ করা এবং (২) এটি এমন বিদ‘আত, যার কারণে ব্যক্তি পাপী হয়। তবে তাতে কাফির হয় না। যেমন শির্কে ও কুফরি কর্মকাণ্ড ব্যতীত নবী ও অলীর মীলাদ উদযাপন করা। ইসলামের মধ্যে বিদ‘আতে হাসানাহ বলতে কিছু নেই। প্রত্যেক বিদ‘আতই গোমরাহী। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা নব্য বিদ‘আত থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন ইবাদত বিদ‘আত। আর প্রত্যেক বিদ‘আত গোমরাহী”। অপর বর্ণনায় এসেছে, “আর প্রত্যেক গোমরাহীর পরিণাম জাহান্নাম”। হাদীসটি আহমদ ও নাসায়ী বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো বিদ‘আতকে ছাড় দেননি। প্রত্যেক বিদ‘আতই হারাম এবং বিদ‘আত সৃষ্টিকারী ব্যক্তি কোনো সাওয়াব পাবে না। কারণ বিদ‘আত তৈরি করা শরীয়তকে সংশোধন করা ও দীন পরিপূর্ণ ও কামিল হওয়ার পরও তাতে বৃদ্ধি করার সামিল। তাই তার বিদআত তার ওপরই প্রত্যাখ্যাত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে আমাদের দীনে নতুন কিছু সৃষ্টি করল তা প্রত্যাখ্যাত”। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)। এখানে ‘আমরিনা’ অর্থ ইসলামে।