উত্তর: বল, আশ্রয় প্রার্থনা তিনটি প্রকার জানার মাধ্যমে উত্তরটি সুস্পষ্ট হবে। আর তা হচ্ছে:
১) তাওহীদ ও ইবাদত আশ্রয় প্রার্থনা: আর এটি হচ্ছে আপনি যেসব বস্তুকে ভয় করেন তা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلۡفَلَقِ ١ مِن شَرِّ مَا خَلَقَ [الفلق: ١، ٢] “বল, আমি আশ্রয় চাই প্রত্যুষের প্রভুর কাছে। তাঁর সৃষ্টির অকল্যাণ থেকে। [সূরা আল-ফালাক, আয়াত: ১-২] আল্লাহ তা‘আলা বলেন, قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلنَّاسِ ١ مَلِكِ ٱلنَّاسِ ٢ إِلَٰهِ ٱلنَّاسِ ٣ مِن شَرِّ ٱلۡوَسۡوَاسِ ٱلۡخَنَّاسِ [الناس: ١، ٤] বল, আমি আশ্রয় চাই মানুষের রব, মানুষের অধিপতি এবং মানুষের ইলাহ এর কাছে। আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে”। [সূরা আন-নাস, আয়াত: ১-৪]
২) বৈধ আশ্রয় প্রার্থনা: আর এটি হচ্ছে জীবিত উপস্থিত ব্যক্তির নিকট এমন বিষয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করা, যে ব্যাপারে সে আশ্রয় দিতে সক্ষম এবং যেটি শরীয়তের দৃষ্টিতে সম্ভব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি নিরাপদ স্থান ও আশ্রয়স্থল পায় সে যেন সেটি গ্রহণ করে”। (সহীহ মুসলিম)
৩) শির্কী আশ্রয় প্রার্থনা: আর এটি হচ্ছে মাখলুকের নিকট এমন বিষয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করা যে ব্যাপারে সে সক্ষম নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَأَنَّهُۥ كَانَ رِجَالٞ مِّنَ ٱلۡإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٖ مِّنَ ٱلۡجِنِّ فَزَادُوهُمۡ رَهَقٗا [الجن: ٦] “আর নিশ্চয় কতিপয় মানুষ জিনের আশ্রয় নিতো। ফলে তারা তাদের অহংকার আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল”। [সূরা আল-জিন, আয়াত: ৬]