উত্তর: বল, কুফর দুই প্রকার:
১) বড় কুফর: এটি মানুষকে দীন থেকে বহিষ্কার করে দেয়। এটি মূল দীনের সম্পূর্ণ বিপরীত। যেমন কেউ আল্লাহকে গাল-মন্দ করলো অথবা তার দীন অথবা তার নবী অথবা শরী‘আতকে গাল দিল এবং দীনের কোনো বিষয় নিয়ে উপহাস ও ঠাট্টা করলো। অথবা আল্লাহর ওপর তার কোন সংবাদ অথবা তার আদেশ অথবা তার নিষেধ প্রত্যাখ্যান করলো। ফলে সে আল্লাহ ও তার রাসূল যে সংবাদ দিয়েছেন সেটা অস্বীকার করলো অথবা আল্লাহ তার বান্দাদের ওপর যা ফরয করেছেন তার কোনো একটি বিষয় অস্বীকার করলো অথবা আল্লাহ ও তার রাসূল যা হারাম করেছেন তার কোন একটিকে বৈধ জানলো, প্রভৃতি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “বল, আল্লাহ, তার আয়াতসমূহ ও তার রাসূলের সাথে কি তোমরা বিদ্রূপ করছিলে? তোমরা ওযর পেশ কর না। তোমরা তোমাদের ঈমানের পর অবশ্যই কুফরী করেছ”। [সূরা তাওবাহ, আয়াত: ৬৫-৬৬]
২) ছোট কুফর: এটি হচ্ছে শরী‘আতের দলীল যাকে কুফর বলেছে ঠিকই; কিন্তু বড় কুফর নয়। এটাকে নি‘আমতের কুফরি অথবা ছোট কুফর বলে নামকরণ করা হয়। যেমন মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করা, বংশ থেকে বিচ্ছেদ ঘোষণা করা ও মাতম করা প্রভৃতি জাহেলিয়াতের স্বভাব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মানুষের মধ্যে দু’টি স্বভাব রয়েছে, যা তাদের মধ্যে কুফরী স্বরূপ: বংশে অপবাদ দেওয়া ও মৃত ব্যক্তির ওপর মাতম করা”। হাদীসটি সহীহ মুসলিম বর্ণনা করেছেন। এ কাজগুলা ব্যক্তিকে মিল্লাত থেকে বের করে না। তবে এগুলো কবিরা গুনাহ। এ থেকে আল্লাহর নিকট আমরা আশ্রয় চাই।