আল্লাহর নামে, আর যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সালাত ও সালাম আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর,
অতঃপর
এটি একটি বুকলেট যাতে এমন এক মাসআলার অবতারণা করা হয়েছে যা সাধারনত খুব কম আলেমই আলোচনা করেছেন। চেয়ারে বসে সালাত আদায়কারীদের বিবিধ বিধান এখানে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে তারা কিভাবে জামাতের সাথে সালাত আদায় করবে তার বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে।
এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, মুসল্লিগণ যাতে বিশুদ্ধ পদ্ধতিতে তাদের সালাত আদায় করতে পারে এবং ভুল-ভ্রান্তি থেকে দূরে থাকতে পারে। কেননা আমরা জানি যে, সালাত হচ্ছে শাহাদাতাইনের পর ইসলামের মূলস্তম্ভ এবং মৌলিক অঙ্গ। সালাতের সাথেই ব্যক্তির অন্যান্য কর্মকাণ্ড বিশুদ্ধ হওয়ার বিষয়টি জড়িত। সুতরাং সালাত যদি শুদ্ধ হয়ে যায় তবে অন্য আমলও তার বিশুদ্ধ হবে। আর যদি সালাতই শুদ্ধ না হয় তবে অন্যান্য আমলও তথৈবচ। তাই সালাতকে যথাযথভাবে পূর্ণাঙ্গভাবে আদায় করতে সচেষ্ট থাকার বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আর তার বর্ণনা করা দ্বীনের অন্যতম কাজ হিসেবে পরিগণিত। বিশেষ করে বর্তমানে চেয়ারে বসে সালাত আদায়কারীর সংখ্যা এতই বেড়ে গেছে যে প্রায় সকল মসজিদেই তাদেরকে দেখা যায়। অথচ অনেকেই অবচেতনভাবে তাতে ভুল করে যাচ্ছে। কারণ এমন অনেক আছে যে দাঁড়াতে পারে, কিন্তু রুকু বা সিজদা করতে পারে না, অথচ সে না দাঁড়িয়েই বসে বসে সালাত আদায় করছে, অথচ সালাতের প্রতি রাকাতে দাঁড়ানো সালাতের রুকন। এ জাতীয় আরও কিছু ভুল সংঘটিত হয়ে থাকে। নিম্নে আমরা এ বিষয়ে কিছু বিস্তারিত আলোচনার প্রয়াস পাব।
- প্রথম অবস্থা:
যে ব্যক্তি রোগ, ভার কিংবা অন্য কোনো কারণে কিয়াম, রুকু, কিংবা সাজদাহ কোনোটিই করতে সক্ষম নয়। তারা যেভাবে বসে তাদের পক্ষে সালাত আদায় করা সম্ভব হয় সেভাবেই আদায় করতে পারবেন। কারণ আল্লাহ বলেন, “সুতরাং তোমরা যতটুকু সম্ভব ততটুকু আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর।” তাছাড়া আল্লাহ আরও বলেন, “আল্লাহ কোনো আত্মাকে তার সাধ্যের বাইরে কষ্ট দেন না”।
নিয়ম হচ্ছে যে, যারা চেয়ারে বসে সালাত আদায় করবে তারা সরাসরি ইমামের পিছনে দাঁড়াবে না। কারণ আশংকা করা হয় যে, ইমামের পিছনে দাঁড়ানোর ফলে কোনো কারণে যদি ইমাম কাউকে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে হয় তবে ইমাম সাহেবকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে। তাছাড়া কোনো পাঠ বা ঘোষণার সময় সে ইমাম ও অন্যান্য মুসল্লিদের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
আরও নিয়ম হচ্ছে যে, চেয়ারটি হবে আকারে ছোট। অর্থাৎ যতটুকু না হলে প্রয়োজন পুরো হয় না ততটুকুই। যাতে পার্শ্বস্থ ও পিছনের অন্যান্য মুসল্লিদের কাতার নষ্ট বা সোজা করতে কোনো অসুবিধা না হয়।
- দ্বিতীয় অবস্থা:
যে ব্যক্তি (রোগ, ভার কিংবা অন্য কোনো কারণে) কিয়াম ও রুকু করতে সক্ষম কিন্তু সে সাজদাহ করতে সক্ষম নয়। তাহলে সে ব্যক্তি সাধারণ সালাত আদায় করবে। সে কিয়াম ও রুকু যথা নিয়মে আদায় করবে। কিন্তু যখন সাজদাহ করার সময় হবে তখন সে চেয়ারে বসে তার সাধ্যমত সাজদা আদায় করবে। অর্থাৎ রুকুর চেয়েও একটু বেশি ঝুঁকে সাজদা দেবে।
- তৃতীয় অবস্থা:
যে ব্যক্তি (রোগ, ভার কিংবা অন্য কোনো কারণে) কিয়াম করতে সমর্থ কিন্তু রুকু ও সাজদাহ করতে সক্ষম নয়। তাহলে সে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে শুরু করবে। সে যথা নিয়মে কিয়াম করার পর যখন রুকু ও সাজদাহ করার সময় হবে তখন চেয়ারে বসে তার সাধ্যমত রুকু ও সাজদা আদায় করবে। অর্থাৎ ঝুঁকে রুকু আদায় করবে, কিন্তু সাজদাতে রুকুর চেয়েও একটু বেশি ঝুঁকবে।
- চতুর্থ অবস্থা:
যে ব্যক্তি (রোগ, ভার কিংবা অন্য কোনো কারণে) কিয়াম করতে সমর্থ নয় কিন্তু সে রুকু ও সাজদাহ করতে সক্ষম। তাহলে চেয়ারে বসে সালাত আদায় করবে। তারপর যখন রুকুর করতে চাইবে তখন চেয়ার ছেড়ে স্বাভাবিকভাবে রুকু করবে। তারপর সে সাজদাহ করার জন্য স্বাভাবিকভাবে মাটিতে সাজদায় চলে যাবে।
মনে রাখতে হবে যে রুখসত তথা ছাড় শুধু প্রয়োজন মোতাবেকই হবে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রহণ করা যাবে না। যখন রুখসতের প্রয়োজন হয় তখন তার উপর আমল করবে, সেটা অন্য আমলের সময় নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনকে তার গণ্ডির ভিতরেই রাখতে হবে।
- পঞ্চম অবস্থা:
যে ব্যক্তি (রোগ, ভার কিংবা অন্য কোনো কারণে) রুকু ও সাজদাহ করতে সক্ষম। কিন্তু সে কিয়াম কিংবা রুকু করতে সমর্থ নয়। তাহলে সে চেয়ারে বসে সালাত আদায় করবে। তারপর যখন সাজদাহ করার সময় হবে তখন স্বাভাবিকভাবে মাটিতে সাজদায় চলে যাবে।
মুসল্লির জানা উচিত যে, এগুলো হচ্ছে ফরয সালাতের বিধান।
যদি নফল সালাত হয় তবে সেটা পুরোটাই বসে পড়ার বিধান রয়েছে। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বাহনের উপর সালাত আদায় করা সাব্যস্ত রয়েছে। তিনি বাহনের উপর ফরয সালাত আদায় করতেন না। আর যে হাদীসে বলা হয়েছে যে, “যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করবে সে দাঁড়িয়ে আদায় করার অর্ধেক সালাত প্রাপ্ত হবে” সে হাদীসটি ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যার ওজর নেই। পক্ষান্তরে যার ওজর রয়েছে তিনি বসে বড়লেও পূর্ণ সওয়াব প্রাপ্ত হবেন। [আল্লাহই ভালো জানেন]
- ষষ্ঠ অবস্থা:
যে ব্যক্তি (রোগ, ভার কিংবা অন্য কোনো কারণে) সালাতের সকল রুকনই যথাযথভাবে আদায় করতে সক্ষম। তবে সে তাশাহহুদে বসতে অক্ষম। এমতাবস্থায় সে সাধারণভাবেই সালাত আদায় করতে থাকবে, অতঃপর যখন তাশাহহুদের বসা আসবে তখন চেয়ারে বসে পড়বে।
- সপ্তম অবস্থা:
প্রতিবন্ধী ও রোগীদের সালাতের ব্যাপারে মূল হচ্ছে তারা মাটিতে বসে সালাত আদায় করবে। কিন্তু যদি চেয়ারে বসে আদায় করা হয় তবে তা জায়েয।
- চেয়ারের অবস্থান ও এতদসংক্রান্ত বিধি-বিধান
১. মুসল্লি যদি কাতারের মাঝখানে হয় তবে চেয়ারের পিছনের পা দু’টিকে কাতারের মধ্যে রাখতে হবে। এমতাবস্থায় সে নিজের শরীর নিয়ে কাতার থেকে সামনে এগিয়ে বসবে। যাতে করে পিছনের কাতার নষ্ট না হয়।
২. আর যদি চেয়ার কাতারের এক পার্শ্বে কিংবা কাতারসমূহের পিছনে থাকে, আর তার পিছনে কোনো কাতার না থাকে তবে সে চেয়ারের সামনের পা দু’টি কাতারের মধ্যে রাখবে, আর সে শরীর নিয়ে কাতারে থাকবে, শরীর নিয়ে কাতারের সামনে এগিয়ে যাবে না।
নিয়ম হচ্ছে যে, যারা চেয়ারে বসে সালাত আদায় করবে তারা সরাসরি ইমামের পিছনে দাঁড়াবে না। কারণ আশংকা করা হয় যে, ইমামের পিছনে দাঁড়ানোর ফলে কোনো কারণে যদি ইমাম কাউকে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে হয় তবে ইমাম সাহেবকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে। তাছাড়া কোনো পাঠ বা ঘোষণার সময় সে ইমাম ও অন্যান্য মুসল্লিদের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
৩. মুসল্লির জন্য এটা জায়েয হবে না যে সে রুকু ও সাজদার সময় চেয়ার সামনের দিকে টেনে নিবে আবার দাঁড়ানো অবস্থায় সেটাকে আবার পিছনে সরিয়ে নিয়ে যাবে। অনুরূপভাবে এর উল্টোটাও করা জায়েয হবে না। এ ধরনের কাজ অপ্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে ধর্তব্য হবে। আর কোনো দরকারও নেই।
তাছাড়া যারা চেয়ারে সালাত আদায় করবে তাদের উচিত যে চেয়ারে তারা বসছে সেটা ঠিক আছে কি না তা যাচাই করে নেওয়া। কারণ এ সকল চেয়ার অনেক সময় ধরে মসজিদে থাকার কারণে সেগুলো কিছু সময় ঠিক থাকার পরে অব্যবহারযোগ্য হয়ে পড়ে। তাছাড়া কারও কারও ওজন বেশি হলে তার ভার সইতে না পেরে চেয়ারের পা ভেঙ্গে সে নিজে পড়ে যেমন ব্যথা পেতে পারে তেমনি পার্শ্বস্থ অন্য কাউকেও কষ্ট দিতে পারে।
আবার কিছু কিছু চেয়ার রয়েছে যা কোনো দানকারীর মাধ্যমে এসেছে। এগুলোর উপকারিতা সকলের জন্যই। কেউ সেগুলোকে নিজের মত করে রিজার্ভ করে নিতে পারে না। বরং মসজিদে প্রবেশের পর যা পাওয়া যাবে তাতে সে সালাত আদায় করবে। তবে যদি কেউ নিজের মালিকানায় কোনো চেয়ার খরিদ করে মসজিদে রাখে তাহলে তার অনুমতি ব্যতীত অন্য কারও উচিত হবে না সেটায় হস্তক্ষেপ করা। [আর আল্লাহই ভালো জানেন]
চেয়ারে সালাত আদায়কারীর জ্ঞাতব্য:
এটা জানা থাকা উচিত যে, যে ব্যক্তি চেয়ারে সালাত আদায় করবে তার সালাতে বিনয় ও নম্রতার ঘাটতি থাকবেই। কারণ এর মাধ্যমে সে সালাতের রুকনসমূহ যথাযথভাবে আদায় করতে পারছে না। সুতরাং নিতান্ত প্রয়োজনেই্ কেবল এ রুখসত বা ছাড় গ্রহণ করা যাবে। তাছাড়া তার উচিত সালাতে মন-প্রাণ হাজির রাখার বিষয়টি সর্বদা আমলে রাখা। যতটুকু সম্ভব অসাবধানতা থেকে দূরে থাকা।
যেহেতু চেয়ারে সালাত আদায়কারী অধিকাংশই রোগী হয়ে থাকেন, তাই তাদের জন্য সালাতে খুব আগে আসা পছন্দনীয় কাজ নয়। বিশেষ করে জুম‘আর সালাতে। কারণ তাদের কাউকেও দেখা যায় যে, তারা ঘুমিয়ে পড়েছে, অথচ ইমাম মিম্বারে খুৎবা দিচ্ছেন। এমনকি কোনো কোনো নেককার লোক বলেছেন, একবার এক অসুস্থ চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে পড়ল, ইমাম সাহেব সালাত আদায় করে শেষ করে চলে গেল, মানুষরাও চলে যাওয়ার পর মসজিদ পরিস্কার করার সময় তাকে জাগানো হলে সে বলল, আমি সালাতের অপেক্ষায় রয়েছি, সময় এখন কত? ইত্যাদি। অথচ তার জুমআর সালাত ছুটে গেছে।
মাসআলা:
যে ব্যক্তি এ ধরনের সমস্যায় পড়বে এবং জুমার সালাত ছুটে যাবে, তার উচিত হচ্ছে চার রাকা‘আত যোহর আদায় করা।
সতর্কীকরণ:
কোনো কোনো সময় দেখা যায়, কোনো লোক দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছে, আর তার পিছনে রয়েছে একটি চেয়ার। তখন দর্শক মনে করল যে, লোকটির বুঝি চেয়ারের প্রয়োজন নেই, তাই সে চেয়ারটিকে সরিয়ে মসজিদের এক পার্শ্বে নিয়ে যায়। ইতোমধ্যে মুসল্লি রুকু ও সাজদা করার জন্য সে চেয়ারে বসতে যায়; কারণ সে মনে করে চেয়ারটি তার পেছনে রয়েছে, ফলে সে মাটিতে পড়ে যায়, কখনও কখনও এভাবে মাটিতে পড়ে যাওয়ার কারণে তার রোগ আরও বেড়ে যায়। এভাবে পড়ে গিয়ে সে যেমন তার সালাত ত্যাগ করে তেমনি তার ক্রোধও বেড়ে যায়, আবার কখনও কখনও যে এ কাজটি করেছে তার উদ্দেশ্যে কঠোর বাক্য কিংবা গালিও দিতে শুরু করে।
মাসআলা:
যে ব্যক্তি এ ধরনের সমস্যায় পড়বে তার জন্য উচিত হবে সালাত ত্যাগ না কর, বরং সে যেভাবে পারে সেভাবে এ সালাতটি সম্পন্ন করবে, এতে করে যদি তাকে এদিক সেদিক তাকানোও হয়ে যায় তবুও সমস্যা হবে না। কারও কারও মনে হতে পারে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে না। বস্তুত: এ ধরনের ঘটনা বাস্তব।
মাসআলা:
লক্ষ্য করা যায় যে, কোনো কোনো মুসল্লি চেয়ারে সালাত আদায়ের সময় সামনে টেবিলের মত কিছু রেখে তার উপর সাজদা করে থাকে, [যেমনটি নিম্নের চিত্রে রয়েছে] এটা সুন্নাতের বিপরীত কাজ। এতে এক ধরনের কৃত্রিমতা রয়েছে, এটা করার জন্য আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং মুসল্লির উচিত হবে কোনো প্রকার কৃত্রিমতা কিংবা বাড়াবাড়ি না করে যতটুকু সম্ভব আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন করা। এটাই আসল কথা আর অধিকাংশ আলেমের মতও তা-ই।
মাসআলা:
চেয়ারে বসে সালাত আদায়কারী কোনো কোনো মুসল্লিকে লক্ষ্য করা যায় যে, তারা যখন সাজদা করতে চান তখন তাদের দু’ হাতকে বাতাসে বিছিয়ে সেটার উপর সাজদা করেন। এটা করাও ঠিক হবে না। কারণ এর উপর কোনো দলীল-প্রমাণ নেই। এটি আসল নিয়মের পরিপন্থী কাজ। এতে এক ধরনের কৃত্রিমতা রয়েছে। বিশুদ্ধ হচ্ছে তাই যা পূর্বের মাসআলায় বর্ণনা করা হয়েছে। আর আল্লাহই অধিক জানেন।
উপসংহার:
চেয়ারে বসে সালাত আদায়কারী মুসল্লিদের সাথে সংশ্লিষ্ট এ বিধানগুলোই মূলত মৌলিক হুকুম-আহকাম। এতে পরিপূর্ণ আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে মানুষের কাজের মধ্যে পূর্ণতা প্রাপ্তি অসম্ভব। এ বুকলেটটিতে যা কিছু বিশুদ্ধ বর্ণিত হলো তা একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর যা কিছু ভুল-ত্রুটি পরিলক্ষিত হবে তা আমার পক্ষ থেকে ও শয়তানের পক্ষ থেকে।
আলহামদুলিল্লাহ এ বুকলেটটি এখানেই সমাপ্ত হলো। পূর্বাপর সকল প্রশংসা কেবল আল্লাহরই জন্য নির্দিষ্ট।