নফস যা কিছু অর্জন করে, অন্তর যা কিছু লাভ করে এবং বান্দা দুনিয়া ও আখিরাতে যা কিছু পায় তার মধ্যে সর্বোত্তম হলো ইলম এবং ঈমান। এ কারণেই আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে ইলম ও ঈমানকে একত্রিত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَقَالَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ وَٱلۡإِيمَٰنَ لَقَدۡ لَبِثۡتُمۡ فِي كِتَٰبِ ٱللَّهِ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡبَعۡثِ٥٦﴾ [الروم: ٥٦]
“আর যাদেরকে জ্ঞান ও ঈমান দেওয়া হয়েছে তারা বলবে, ‘তোমরা আল্লাহর বিধান মত পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবস্থান করেছ।” [সূরা আর-রূম, আয়াত: ৫৬] আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٞ١١﴾ [المجادلة: ١١]
“তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন।” [সূরা আল-মুজাদালা, আয়াত: ১১]
এরা হলেন সৃষ্টির মূল ও শ্রেষ্ঠ মানব এবং সর্বোচ্চ আসনের অধিকারী। কিন্তু আধিকাংশ মানুষ ইলম ও ঈমানের প্রকৃত নাম ও হাকীকত বুঝতে ভুল করে যে ইলম ও ঈমানের দ্বারা সৌভাগ্য ও উচ্চ মর্যাদা অর্জিত হয়। এমনকি প্রত্যেক মানুষ ভাবে যে, তার কাছে যে ইলম ও ঈমান আছে তার দ্বারাই সৌভাগ্য অর্জিত হবে; কিন্তু আসল ব্যাপার এরূপ নয়। বরং অধিকাংশ মানুষেরই নাজাতদানকারী ঈমান নেই, মর্যাদা উচুঁকারী ইলম নেই; বরং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে ইলম ও ঈমান নিয়ে এসেছেন এবং যে ইলম ও ঈমানের দিকে আহ্বান করেছেন, তিনি নিজে যে ইলম ও ঈমানের ওপর অটল ছিলেন, তাঁর পরে তাঁর সাহাবীরা যে ইলম ও ঈমানে ওপর ছিলেন এবং তাদের পরবর্তীরা তাদের পদ্ধতি ও পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন তারা সে ইলম ও ঈমানের পথসমূহকে কলুষিত করে ফেলেছে।