উক্ত কর্মের অনেকগুলো মানসিক অপকার রয়েছে, যা নিম্নরূপ:
১. অস্থিরতা ও ভয়-ভীতি অধিক হারে বেড়ে যায়। কারণ, আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যের মধ্যেই রয়েছে সার্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা। যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকেই ভয় করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে অন্য সকল ভয় থেকে মুক্ত রাখবেন। আর যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করবে না তাকে সকল ভয় এমনিতেই ঘিরে রাখবে। কারণ, শাস্তি তো যে কোনো অপরাধ মূলক কাজের অনুরূপ হওয়াই শ্রেয়।
২. মানসিক বিশৃঙ্খলতা ও মনের অশান্তি তার নিকট প্রকট হয়ে দেখা দেয়। এ হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে সে ব্যক্তির জন্য নগদ শাস্তি যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্যকে ভালোবাসবে। আর এ সম্পর্ক যতই ঘনিষ্ঠ হবে মনের অশান্তি ততই বেড়ে যাবে।
আল্লামা ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন, এ কথা সবারই জানা উচিৎ যে, কেউ কাউকে ভালোবাসলে (যে ভালোবাসা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য নয়) সে প্রিয় ব্যক্তি অবশ্যই তার প্রেমিকের ক্ষতি সাধন করবে এবং এ ভালোবাসা অবশ্যই প্রেমিকের যে কোনো ধরনের শাস্তির কারণ হবে।
৩. এ ছাড়াও উক্ত অবৈধ সম্পর্ক অনেক ধরনের মানসিক রোগের জন্ম দেয় যা বর্ণনাতীত। যার দরুন তাদের জীবনের স্বাদ একেবারেই নিঃশেষ হয়ে যায়।
৪. এ জাতীয় লোকেরা একাকী থাকাকেই বেশি ভালোবাসে এবং তাদের একান্ত শিকার অথবা উক্ত কাজের সহযোগী ছাড়া অন্য কারোর সাথে এরা একেবারেই মিশতে চায় না।
৫. এ জাতীয় লোকদের মাঝে স্বকীয়তা ও ব্যক্তিত্বহীনতা ধীরে ধীরে জন্ম নেয় এবং তাদের মেযাজ পরিবর্তন হয়ে যায়। যে কোনো কাজে এরা স্থির সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
৬. এদের নিজেদের মাঝে ক্রমান্বয়ে পরাজয় ভাব জন্ম নেয়। নিজের ওপর তখন এরা কোনো ব্যাপারেই আস্থাশীল হতে পারে না।
৭. এ জাতীয় মানুষের নিজের মধ্যে এক জাতীয় পাপ বোধ জন্ম নেয়। যার দরুন সে মনে করে সবাই আমার ব্যাপারটা জেনে ফেলেছে। সুতরাং মানুষের ব্যাপারে তার একটা খারাপ ধারণা জন্ম নেয়।
৮. এ জাতীয় লোকদের মাঝে হরেক রকমের ওয়াসওয়াসা ও অমূলক
চিন্তা জন্ম নেয়। এমনকি ধীরে ধীরে সে পাগলের রূপ ধারণ করে।
৯. এ জাতীয় লোক ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণহীন যৌন তাড়নায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। সদা সর্বদা সে যৌন চেতনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে।
১০. এদের মধ্যে ধীরে ধীরে মানসিক টানাপড়েন ও বেপরোয়াভাব জন্ম নেয়।
১১. তেমনিভাবে এদের মধ্যে বিরক্তি ভাব, নিরাশা, কুলক্ষুণে ভাব, আহাম্মকি জযবাও জন্ম নেয়।
১২. এদের দেহের কোষসমূহের ওপরও এর একটা বিরাট প্রভাব রয়েছে। যার দরুন এ ধরনের লোকেরা নিজকে পুরুষ বলে মনে করে না। এ কারণেই এদের কাউ কাউকে মহিলাদের সাজ-সজ্জা গ্রহণ করতেও দেখা যায়।