পর্দা নারীর ইজ্জত-সম্মান ও লজ্জা সম্ভ্রম সংরক্ষণের সব চেয়ে বড় উপায়। পর্দা নারীকে অশ্লীল, কদর্য ও কুদৃষ্টি থেকে বাঁচিয়ে রাখে। যারা বেপর্দা ও নগ্ন স্বাধীনতার তিক্ততার আস্বাদ গ্রহণ করেছে এবং যারা অশ্লীলতা ও অবাধ মেলামেশার আগুনে দগ্ধ হয়েছে তারা এর স্বীকৃতি দেয়।
ইসলামের শত্রুরাও কতইনা সত্য সাক্ষ্য দেয়:
“হীলসীয়ান স্তাসমারী” নামক আমেরিকার একজন মহিলা সাংবাদিক আরব দেশসমূহের কোনো এক রাজধানীতে কয়েক সপ্তাহ অতিবাহিত করে স্বীয় দেশে ফিরে গিয়ে বলেন, “নিশ্চয় আরব সমাজ ব্যবস্থা একটি পুর্ণাঙ্গ ও নিরাপদ সমাজ ব্যবস্থা। এ উপযুক্ত সমাজের রীতি-নীতি একান্তভাবে গ্রহণ করা উচিৎ, কেননা এই যুক্তিসংগত প্রথা যুবক-যুবতীদেরকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করে।
এ সমাজ ইউরোপীয় ও আমেরিকার সমাজ ব্যবস্থা থেকে ভিন্নতর। তোমাদের নিকট উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত যে চরিত্র রয়েছে তা নারীর সীমাবদ্ধতাকে বাধ্যতামূলক করে, পিতা-মাতার সম্মান করা ও এ ধরনের বহু বিষয়কে আবশ্যক করে এবং পাশ্চাত্যের সেই স্বেচ্ছাচারিতাকে বর্জন করে, যা বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকার সমাজ ও পরিবারকে বিনাশ করে ফেলেছে।
সুতরাং অবাধ মেলামেশা থেকে বিরত থাকুন, নারী স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করুন, ফিরে আসুন পর্দার যুগে; কেননা আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান স্বেচ্ছাচারিতা, অশ্লীলতা ও অবাধ্যতার চেয়ে তা কল্যাণকর।” (“নারী ও শত্রু চক্রান্ত” নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত।)
অতএব, হে মুসলিম নারীবৃন্দ!
লক্ষ্য করুন! ইনি একজন আমেরিকান মহিলা তিনি তার সমাজের পরিবারসমূহে চারিত্রিক অবক্ষয় লক্ষ্য করে পর্দার প্রতি আহ্বান করেছেন।
একজন আমেরিকান মহিলা আমাদেরকে আমাদের ইসলামী সুন্দর চরিত্র ও উত্তম আদর্শ গ্রহণ করার অসীয়ত করেছেন।
একজন আমেরিকান নারী আমাদেরকে অবাধ মেলামেশা ও স্বেচ্ছাচারিতার ভয়াবহ পরিণাম থেকে সতর্ক করছেন, যা আমেরিকা ও ইউরোপের সামাজিক অবস্থাকে ভেঙ্গে চুড়ে খানখান করেছে।
পরিশেষে হে মুসলিম নারী! শুভ সংবাদ গ্রহণ করুন। আপনি আপনার পর্দায় তৃপ্ত হয়ে চক্ষুশীতল করুন এবং জেনে রাখুন ভবিষ্যৎ শান্তি তো এ জীবন বিধানের জন্যই, আর শেষ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্যই, যদিও তা অপছন্দকারীরা অপছন্দ করে।
وصلى الله على نبينا محمد وعلى آله وصحبه وسلم.