ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
উসূলে ফিক্বহ (ফিক্বহের মূলনীতি) লেখকের ভূমিকা শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)
ভূমিকা

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তার প্রশংসা করি। তার কাছে সাহায্য চাই। তার কাছে ক্ষমা চাই। তার নিকটে তাওবা করি।[1] আমরা আশ্রয় চাই আল্লাহর কাছে আমাদের আত্নার অনিষ্ট[2] থেকে এবং আমাদের মন্দ কর্ম[3] থেকে। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন, তাকে কেউ হেদায়েত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই। তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তার কোন শরীক নেই। আমি আরোও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রসূল। আল্লাহ রহমত করুন তার উপর, তার পরিবার-পরিজনের[4] উপর, তার ছাহাবীদের উপর এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত যারা ন্যায় সঙ্গতভাবে তাদের অনুসরণ করবে[5] তাদের উপর। তিনি তাদের উপর অবিরত শান্তির ধারা বর্ষণ করুন।

অতঃপর এটি ফিকহ বা প্রায়োগিক শাস্ত্রের মূলনীতি বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত পুস্তিকা। ‘মা‘হাদুল ইলমিয়্যাহ’[6] এর মাধ্যমিক স্তরের তৃতীয় বর্ষের উপযোগী করে এটি আমি লিপিবদ্ধ করেছি। এবং নাম দিয়েছি-

الأصول من علم الأصول (ফিকাহ শাস্ত্রের মূলনীতি )

আল্লাহর কাছে কামনা করছি, তিনি যেন আমাদের কর্মগুলোকে তাঁর জন্যই একনিষ্ঠ করেন, তার বান্দাদের জন্য উপকারী করেন। নিশ্চয়ই তিনি সন্নিকটে, প্রার্থনা মঞ্জুরকারী।

লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ ইবনে ছ্বলিহ আল উছাইমীন।

[1]. তাওবা হলো: পাপ থেকে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা। এটা দু’প্রকার । যথা: التوبة المطلقة এবং التوبة المقيدة।

التوبة المطلقة হলো নির্দিষ্ট কোন পাপের নয়, বরং সাধারণভাবে সব ধরণের পাপের জন্য যে তাওবা করা হয়।

التوبة المقيدة হলো: ঐ তাওবা যা নির্দিষ্ট পাপের জন্য করা হয়।

[2]. এখানে আত্মার অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। কেননা, নিশ্চয় আত্মার অনিষ্টতা রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন , إن النفس لأمارة بالسوء ... নিশ্চয় আত্মা মন্দ কর্মের নির্দেশ দেয় ... (সুরা ইউসুফ ‘১২:৫৩)।

৩.অন্তরের অনিষ্টতা সব সময় দু’টি জিনিসের উপর আবর্তিত হয়।

(ক). পাপ কাজের দিকে ধাবিত করা। (খ). সৎ কর্ম থেকে বিরত রাখা।


[4]. এখানে آل অর্থ: তার নিকটাত্মীয়ের মাঝে যারা মু’মিন এবং মু’মিন নয়, তারা آل কিনা এ ব্যাপারে মতানৈক্য আছে।جلاء الأفهام পৃ: ৩২৩, القول البديع পৃ: ৮৮।

[5]. ছাহাবীদের অনুসরণ করার দিক দিয়ে মানুষ তিন শ্রেণীতে বিভক্ত।

(ক). যারা তাদের অনুসরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

(খ). যারা তাদের যথাযথভাবে অনুসরণ করেন।

(গ). যারা তাদের ত্রম্নটিপূর্ণভাবে অনুসরণ করেন।

আমরা সাধারণত দ্বিতীয় শ্রেণী মানুষের জন্য দু’আ করি। প্রথম শ্রেণীর মানুষ দু‘আর মোটেও উপযুক্ত নয়। আর তৃতীয় শ্রেণীর মানুষ তাদের অনুসরণের মাত্রা অনুযায়ী দু’আর অন্তর্ভুক্ত হবেন।

[6]. উক্ত প্রতিষ্ঠানে লেখক শিক্ষকতা করেছেন।