(১) মুওয়াযযিন ক্বিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে উচ্চকণ্ঠে আযান দিবে। দুই কানে আংগুল প্রবেশ করাবে, যাতে আযানে জোর হয়। ‘হাইয়া ‘আলাছ ছালা-হ ও ফালা-হ’ বলার সময় যথাক্রমে ডাইনে ও বামে মুখ ঘুরাবে, দেহ নয়।[51] অসুস্থ হ’লে বসেও আযান দেওয়া যাবে। [52]
(২) যে ব্যক্তি আযান হওয়ার পর (কোন যরূরী প্রয়োজন ছাড়াই) মসজিদ থেকে বের হয়ে গেল, সে ব্যক্তি আবুল ক্বাসেম [মুহাম্মাদ (ছাঃ)]-এর অবাধ্যতা করল। [53]
(৩) যিনি আযান দিবেন, তিনিই এক্বামত দিবেন। অন্যেও দিতে পারেন। অবশ্য মসজিদে নির্দিষ্ট মুওয়াযযিন থাকলে তার অনুমতি নিয়ে অন্যের আযান ও এক্বামত দেওয়া উচিৎ। তবে সময় চলে যাওয়ার উপক্রম হ’লে যে কেউ আযান দিতে পারেন।[54]
(৪) আযানের উদ্দেশ্য হবে স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। এজন্য কোন মজুরী চাওয়া যাবে না। তবে বিনা চাওয়ায় ‘সম্মানী’ গ্রহণ করা যাবে। কেননা নিয়মিত ইমাম ও মুওয়াযযিনের সম্মানজনক জীবিকার দায়িত্ব গ্রহণ করা সমাজ ও সরকারের উপরে অপরিহার্য কর্তব্য।[55]
(৫) আযান ওযূ অবস্থায় দেওয়া উচিৎ। তবে বে-ওযূ অবস্থায় দেওয়াও জায়েয আছে। আযানের জওয়াব বা অনুরূপ যেকোন তাসবীহ, তাহলীল ও দো‘আ সমূহ এমনকি নাপাক অবস্থায়ও পাঠ করা জায়েয আছে।[56]
(৬) এক্বামতের পরে দীর্ঘ বিরতি হ’লেও পুনরায় এক্বামত দিতে হবে না।[57]
(৭) আযান ও জামা‘আত শেষে কেউ মসজিদে এলে কেবল এক্বামত দিয়েই জামা‘আত ও ছালাত আদায় করবে।[58]
(৮) ক্বাযা ছালাত জামা‘আত সহকারে আদায়ের জন্য আযান আবশ্যিক নয়। কেবল এক্বামতই যথেষ্ট হবে। [59]
[53] . মুসলিম, মিশকাত হা/১০৭৫ ‘জামা‘আত ও উহার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-২৩।
[54] . ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৯০, ৯২ পৃঃ; মাসআলা-১৩, ২০।
[55] . আহমাদ, আবুদাঊদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ; নায়লুল আওত্বার ২/১৩১-৩২; আবুদাঊদ, হা/২৯৪৩-৪৫ ‘সনদ ছহীহ’; মিশকাত হা/৩৭৪৮ ‘নেতৃত্ব ও বিচার’ অধ্যায়-১৮, ‘দায়িত্বশীলদের ভাতা ও উপঢৌকন’ অনুচ্ছেদ-৩।
[56] . ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৫১-৫২।
[57] . ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৮৯, ৯২ পৃঃ ; ছালাতুর রাসূল, তাখরীজ : আব্দুর রঊফ, ১৯৮ পৃঃ।
[58] . ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৯১ ‘আযান’ অধ্যায়, মাসআলা-১৮।
[59] . মুসলিম, মিশকাত হা/৬৮৪, ‘দেরীতে আযান’ অনুচ্ছেদ-৬; মির‘আত ২/৩৮৭।