রসূলের অনুসারীরা একনিষ্ঠ নয়, দুনিয়া প্রেমীক এ কথা বলে জাহিলরা ঈমানদারদের অপবাদ দেয়। আল্লাহ তা‘আলা জাহিলদের জবাবে বলেন,
(مَا عَلَيْكَ مِنْ حِسَابِهِمْ مِنْ شَيْءٍ) [الأنعام: 52]
তাদের কোন হিসাব তোমার উপর নেই (সূরা আল-আন‘আম ৬:৫২)। এরূপ আরো আয়াত আছে।
...
ব্যাখ্যা: জাহিলী সমস্যা: অভাবীরা দুনিয়া উপভোগের জন্যই ঈমান এনেছে এ বলে জাহিলরা তাদেরকে অপবাদ দেয়। যেমন ফেরআউনের সম্প্রদায় মূসা আলাইহিস সালাম ও তার ভাই হারুন আলাইহিস সালামকে অপবাদ দিয়েছিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(مَا هَذَا إِلَّا بَشَرٌ مِثْلُكُمْ يُرِيدُ أَنْ يَتَفَضَّلَ عَلَيْكُمْ) [المؤمنون: 24]
এতো তোমাদের মত একজন মানুষ ছাড়া কিছুই না। সে তোমাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করতে চায় (সূরা আল-মূ‘মিনূন ২৩:২৪)।
সম্মান ও নের্তৃত্বের মোহে জাহিলরা নাবীগণকে অপবাদ দিতো। আর অভাবী মু‘মিনদেরকে তারা দোষারোপ করতো এ কারণে যে, তারা নাকি রসূলের অনুসরণের মাধ্যমে ধনাঢ্যতা ও প্রাচুর্যতা অর্জন করতে চায়। মহান আল্লাহ বলেন,
(وَلا تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ) [الأنعام: 52]
আর তুমি তাড়িয়ে দিয়ো না তাদেরকে, যারা নিজ রবকে সকাল সন্ধ্যায় ডাকে, তারা তার সন্তুষ্টি চায় (সূরা আল-আন‘আম ৬:৫২)।
মু‘মিনরা দুনিয়া চায় জাহিলদের এ অপবাদের কথা আল্লাহ তা‘আলা উক্ত আয়াতে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন (يُرِيدُونَ وَجْهَهُ) অর্থাৎ তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি চায়। অতঃপর তিনি মু‘মিনদের একনিষ্ঠতাকে প্রমাণ করেছেন।