ব্যাখ্যা: যেসব বিষয়য় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাহিলদের বিরোধিতা করেছেন: জাহিলরা শিষ বাজানো ও হাত-তালির মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করতো অর্থাৎ তার নৈকট্য লাভ করতো। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
: (وَمَا كَانَ صَلاتُهُمْ عِنْدَ الْبَيْتِ إِلَّا مُكَاءً وَتَصْدِيَةً) [الأنفال: 35]
আর কা’বার নিকট তাদের সালাত শিষ ও হাত-তালি ছাড়া কিছু ছিল না (সূরা আনফাল ৮:৩৫)।
কাবা শরীফের নিকটে মুশরিকরা কেবল শিষ বাজিয়ে ও হাত-তালি দিয়ে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করতো। শিষ দেয়া অর্থ হলো মুখে শব্দ করা। আর করতালি অর্থ দু’হাতের তালু একত্র করে শব্দ করা। জাহিলরা বাইতুল্লাহর নিকটে এ আমল করতো। এটাকে তারা ছ্বলাত মনে করে আল্লাহ তা‘আলার নৈকট্য লাভ করতে চাইতো। আর যারা মানুষ ও জিনদের মধ্য থেকে শয়তান, তারা এ কর্মকে সৌন্দর্যময় করে তুলতো। কেননা আল্লাহ তা‘আলার নির্ধারিত (توقيفية) নিয়ম ছাড়া ইবাদত হয় না।
মানুষ নিজ থেকে কোন বিধান আবিষ্কার করতে পারে না অথবা অন্য কিছুর দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার সাক্ষাত পেতে চাওয়া যা তিনি বিধিবদ্ধ করেননি তা আল্লাহর ইবাদত বলে গণ্য করতে পারে না অথচ শরীয়তে এর কোন মৌলিকত্ব নেই। একারণে শিষ দেয়া ও তালি বাজানো এ দু’টি নিষিদ্ধ অভ্যাসকে ইসলামে হারাম গণ্য করা হয়, যদিও এ দু’টির মাধ্যমে ইবাদত করা মানুষের উদ্দেশ্য থাকে না। কেননা তাতে মুশরিকদের আত্মতৃপ্তিই আছে বটে। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশেষত মহিলাদের জন্য প্রয়োজনে তালি বাজানোকে বৈধ করেছেন। যেমন ইমাম ছ্বলাতে ভুল করলে তাকে সতর্ক করার জন্য মহিলাদের তালি বাজানো বৈধ। উপস্থিত পুরুষ মুক্তাদিদের ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য মহিলাদের জন্য এ পদ্ধতি নির্ধারিত।[1] আর তালি বাজানোর ক্ষেত্রে কাফিরদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য বৈধ নয়।
>