১) খেজুরগুলো নিসাব পরিমাণ হলো কি না তা জানার উপায় কী? আমি তো বিভিন্ন সময় খেজুর পেড়ে থাকি?
২) কীভাবে যাকাতের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে? প্রত্যেক প্রকার খেজুরের যাকাত কি আলাদাভাবে বের করতে হবে? নাকি সবগুলো একত্রিত করে যে কোনো এক প্রকার থেকে যাকাত দিলেই চলবে?
৩) খেজুর থেকে যাকাত না দিয়ে এর বিনিময় মূল্য দিলে চলবে কী?
৪) বিগত বছরগুলোতে তো যাকাত বের করিনি। এখন আমি কি করব?
উত্তর: বাড়ির আশে পাশে খেজুর গাছে প্রাপ্ত খেজুর থেকে যে যাকাত আবশ্যক হতে পারে এ ব্যাপারে অধিকাংশ মানুষ জ্ঞান রাখে না প্রশ্নকারীর এ কথা সত্য ও সঠিক। কারো বাড়িতে সাতটি কারো দশটি কারো কম বা বেশি সংখ্যার গাছ থাকে। এগুলোর ফল নিসাব পরিমাণও হয়ে যায়। কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না যে এতেও যাকাত দিতে হবে। তাদের ধারণা যে, বাগানের খেজুরেই শুধু যাকাত দেওয়া লাগবে। অথচ খেজুর বৃক্ষ বাগানে হোক বা বাড়ীতে হোক, উৎপাদিত ফসল নিসাব পরিমাণ হলেই তাতে যাকাত দিতে হবে। এ ভিত্তিতে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন মানুষ অনুমান করবে, এ গাছগুলোতে যাকাতের নিসাব পরিমাণ খেজুর আছে কি না? যদি নিসাব পরিমাণ হয় তবে কীভাবে যাকাত দিবে; কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে সে যাকাত দিবে সে তো বিভিন্ন সময় ফল পেড়ে খেয়ে থাকে? যেমনটি প্রশ্নকর্তা বলেছে।
আমি মনে করি, এ অবস্থায় খেজুরের মূল্য নির্ধারণ করবে এবং পূর্ণ মূল্যের এক বিশমাংশ যাকাত হিসেবে বের করবে। কেননা এ পদ্ধতি মালিকের জন্য যেমন সহজ তেমনি অভাবীদের জন্যও উপকারী। এতে যাকতের পরিমাণ হবে ৫% (শতকরা পাঁচ) টাকা। কেননা তা হচ্ছে ফসলের যাকাত; ব্যবসায়িক পণ্যের যাকাত নয়। কিন্তু অন্যান্য সম্পদ যদি হয় যেমন- স্বর্ণ-রৌপ্য, টাকা-পয়সা, তবে তাতে যাকাতের পরিমাণ হচ্ছে ২.৫% (শতকরা আড়াই) টাকা।
আর অজ্ঞতাবশতঃ বিগত যে কয় বছরের যাকাত আদায় করে নি, তার জন্য অনুমাণ করে সর্বমোট একটা পরিমাণ নির্ধারণ করবে, তারপর তার যাকাত এখনই আদায় করে দিবে। আর যাকাত আদায় করতে এ দেরীর কারণে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা সে ছিল অজ্ঞ। কিন্তু বিগত বছরগুলোর যাকাত অবশ্যই আদায় করতে হবে।