ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
শারহুল আক্বীদা আত্-ত্বহাবীয়া ৪০. যে ব্যক্তি রবের জন্য সুসাব্যস্ত গুণাবলীকে অস্বীকার করা এবং সৃষ্টির গুণাবলীর সাথে তার সাদৃশ্য করা থেকে বিরত থাকবে না, তার নিশ্চিত পদস্খলন ঘটবে ও সে সঠিকভাবে আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণায় ব্যর্থ হবে (وَمَنْ لَمْ يَتَوَقَّ النَّفْيَ وَالتَّشْبِيهَ زَلَّ وَلَمْ يُصِبِ التَّنْزِيهَ) ইমাম ইবনে আবীল ইয আল-হানাফী (রহিমাহুল্লাহ)
আল্লাহ তা‘আলাকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করা কুফুরী

আল্লাহ তা‘আলাকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করা কুফুরী। কুরআন সুস্পষ্ট করেই বলে দিয়েছে,لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ ‘‘তার সদৃশ কোনো কিছুই নেই (সূরা শূরা: ১১)। ঐদিকে আল্লাহর সিফাতসমূহকে অস্বীকার করাও কুফুরী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ ‘‘তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’’ (সূরা শূরা: ১১)। আসলে আল্লাহর সিফাতসমূহকে নাকোচ করা তাশবীহর দু’টি প্রকারের মধ্যে এটিই হলো মূল। কেননা তাশবীহ দুই প্রকার।

(১) স্রষ্টাকে সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্য করা।

(২) সৃষ্টিকে স্রষ্টার সাথে সাদৃশ্য করা। প্রথম প্রকার সাদৃশ্য বা তাশবীহকে বাতিল ও প্রত্যাখ্যান করতে গিয়ে কালামপন্থীরা প্রচুর পরিশ্রম করে থাকে।

তবে প্রথম প্রকারের লোক মানব সমাজে দ্বিতীয় প্রকার লোকদের চেয়ে খুব কম পাওয়া যায়। যারা শায়েখণ্ডমাশায়েখ, উযাইর, ঈসা, সূর্য, চন্দ্র, ফেরেশতা, আগুন, পানি, বাছুর, কবর, জিন এবং অনুরূপ অন্যান্য সৃষ্টির ইবাদত করে, তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত। এ শ্রেণীর লোকদের কাছেই আল্লাহ তা‘আলা রসূল পাঠিয়েছেন। রসূলগণ তাদেরকে এগুলোর ইবাদত বর্জন করে এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।