ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
শারহুল আক্বীদা আত্-ত্বহাবীয়া ২০. তিনি তাদের মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করেছেন (وَضَرَبَ لَهُمْ آجَالًا) ইমাম ইবনে আবীল ইয আল-হানাফী (রহিমাহুল্লাহ)
তিনি তাদের মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করেছেন।

ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন, (وَضَرَبَ لَهُمْ آجَالًا) তিনি তাদের মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট করেছেন।

..........................................

ব্যাখ্যা: অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা সমস্ত সৃষ্টির মৃত্যুর সময় নির্ধারণ করেছেন। এভাবে নির্ধারণ করেছেন যে, যখন তাদের সে নির্ধারিত সময় উপস্থিত হবে, তখন সামান্য পরেও হবে না, পূর্বেও হবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ

‘‘তারপর যখন সে সময়টি এসে যায় তখন তারা তা থেকে এক মুহূর্তও আগাতে পারে না, পিছেও যেতে পারে না’’। (সূরা নাহাল: ৬১)

আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَن تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُّؤَجَّلًا

‘‘কোনো প্রাণীই আল্লাহর অনুমতি ছাড়া মরতে পারে না। মৃত্যুর সময় তো লেখা আছে’’। (সূরা আলে-ইমরান: ১৪৫)

ছহীহ মুসলিমে আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী উম্মে হাবীবা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা একবার বললেন,

«اللَّهُمَّ أَمْتِعْنِي بِزَوْجِي رَسُولِ اللَّهِ، وَبِأَبِي أَبِي سُفْيَانَ، وَبِأَخِي مُعَاوِيَةَ، قَالَ: فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَدْ سَأَلَتِ اللَّهَ لِآجَالٍ مَضْرُوبَةٍ، وَأَيَّامٍ مَعْدُودَةٍ، وَأَرْزَاقٍ مَقْسُومَةٍ، لَنْ يُعَجِّلَ شَيْئًا قَبْلَ أَجَلِهِ، وَلَنْ يُؤَخِّرَ شَيْئًا عَنْ أَجَلِهِ، وَلَوْ كُنْتِ سَأَلْتِ اللَّهَ أَنْ يُعِيذَكِ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ وَعَذَابٍ فِي الْقَبْرَِكانَ خَيْرًا وَأَفْضَلَ»

‘‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার স্বামী আল্লাহর রসূল, আমার পিতা আবু সুফিয়ান এবং আমার ভাই মুআবীয়ার সাথে দীর্ঘায়ু দান করো। বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে রসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি কেবল আল্লাহর কাছে নির্ধারিত সময়সীমাগুলো, নির্দিষ্ট দিনসমূহ এবং বণ্টিত রিযিকসমূহই প্রার্থনা করেছো। আল্লাহ তা‘আলা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে কোনো সৃষ্টিরই মৃত্যু দান করবেন না এবং তার জন্য নির্ধারিত সময়ের পরেও মৃত্যু দিবেন না। এর পরিবর্তে তুমি যদি আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করতে যে, তিনি যেন তোমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচান এবং কবরের আযাব হতে মুক্তি দেন, তাহলে এটাই তোমার জন্য ভালো ও উত্তম হতো’’।[1]

[1]. ছহীহ মুসলিম: ২৬৬৩। হাদীছটি মুসলিমের শর্তে সহীহ। দেখুন ইমাম আলবানী রহিমাহুল্লাহর তাহকীকসহ শারহুল আকীদাহ আত্ তাহাবীয়া, হাদীছ নং- ৮৮।