অতঃপর শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
وَهُوَ الْإِيمَانُ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْبَعْثِ بَعْدَ الْمَوْتِ وَالْإِيمَانُ بِالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদাহর বিষয়গুলো হলো আল্লাহর প্রতি, আল্লাহর ফেরেশতাদের প্রতি, আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ কিতাবসমূহের প্রতি, নবী-রাসূলদের প্রতি, মৃত্যুর পর পুনরুত্থান দিবসের প্রতি এবং তাকদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।
ব্যাখ্যাঃ এখানে هو ‘উহা’ দ্বারা ফির্কা নাজিয়ার আকীদাহ-বিশ্বাসকে বুঝানো হয়েছে। الإيمان বিশ্বাসঃ ঈমান শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে সত্যায়ন করা। ইয়াকুব (আঃ)এর পুত্ররা যখন তাদের ভাই ইউসুফকে কূপে ফেলে দিয়ে তাদের পিতার কাছে এসে বললঃ ﴾ ﴿وَمَا أَنْتَ بِمُؤْمِنٍ لَنَا وَلَوْ كُنَّا صَادِقِينَ‘‘আমরা সত্যবাদী হলেও আপনি আমাদের কথা বিশ্বাস অর্থাৎ সত্যায়ন করবেন না’’। আল্লাহ তাআলা সূরা ইউসুফের ১৭ নং আয়াতে ইউসুফ (আঃ)এর ভাইদের এই কথা উদ্ধৃত করেছেন।
আর ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় অন্তরের বিশ্বাস, জবানের স্বীকারোক্তি এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে আমল করাকে ঈমান বলা হয়।
আল্লাহর প্রতি, আল্লাহ তাআলার ফেরেশতাদের প্রতি, আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ কিতাবসমূহের প্রতি, মৃত্যুর পর পুনরুত্থান দিবসের প্রতি এবং তাকদীরের ভাল-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, -এই ছয়টি হচ্ছে ঈমানের রুকন। আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতে যেই সঠিক পদ্ধতিতে এই ছয়টি রুকনের বর্ণনা এসেছে, একসাথে সেই রুকনগুলোর প্রতি বিশ্বাস না করলে কারো ঈমান বিশুদ্ধ হবেনা। এই রুকনগুলো হচ্ছে,