أهلِ السنة والجماعة আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত: الفرقة শব্দ হতে বদল হিসাবে أهلِ শব্দের লাম বর্ণে যের দিয়ে পড়া হয়েছে। অথবা উহ্য মুবতাদার খবর হিসাবে তাতে পেশ দিয়ে পড়া যেতে পারে। বাক্যের প্রকাশ্য রূপটি এমনঃ هم أهلُ السنة والجماعة অর্থাৎ সেই নাজাতপ্রাপ্ত ফির্কার লোকেরা হচ্ছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত।[1]
السنة সুন্নাত: সুন্নাত ঐ পথকে বলা হয়, যার উপর ছিলেন স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অন্য অর্থে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা, কাজ ও সমর্থন সমূহকে সুন্নাত বলা হয়। বিদআতীরা যেমন বিভিন্ন মত ও পথের দিকে নিজেদেরকে সম্বোধিত করে, ফির্কায়ে নাজিয়ার লোকেরা তাদের খেলাফে সবকিছু বাদ দিয়ে যেহেতু শুধু রাসূলের সুন্নাতকেই মেনে চলেন, সেই কারণে তাদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বলা হয়। বিদআতীদেরকে তাদের বিদআতের দিকেই সম্বন্ধ করা হয়; সুন্নাতের দিকে নয়। যেমন বলা হয় কাদরীয়া সম্প্রদায়ের লোক, মুরজীআ সম্প্রদায়ের লোক ইত্যাদি। কখনো তাদেরকে তাদের ইমামের দিকেও সম্বন্ধ করা হয়। যেমন জাহমীয়াদেরকে তাদের ইমাম জাহাম বিন সাফওয়ানের দিকে সম্বন্ধ করে জাহমীয়া বলা হয়। আবার কখনো বিদআতীদের নিকৃষ্ট কর্মসমূহের দিকেও নিসবত করা হয়। যেমন আবু বকর ও উমার এবং তাদের খেলাফতকে প্রত্যাখ্যান করার কারণে শিয়াদের একটি দলকে রাফেযী এবং আলী (রাঃ)এর দল ত্যাগ করে যারা তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করেছিল তাদেরকে খারেজী বলা হয়।
الجماعة জামাআত: আভিধানিক অর্থে মানুষের ঐক্যবদ্ধ একটি দলকে জামাআত বলা হয়। তবে এখানে জামাআত দ্বারা ঐ সব লোক উদ্দেশ্য, যারা আললাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাত দ্বারা সুসাব্যস্ত ও প্রমাণিত হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে। তারা হলো সাহাবী এবং যারা উত্তমভাবে সাহাবীদের অনুসরণ করে। যদিও তাদের সংখ্যা কম হয়। যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেনঃ যারা সত্যের অনুসরণ করে, তারাই হচ্ছেন জামাআত। আপনি যদি একাই সত্যের অনুসরণ করেন, তাহলে আপনি একাই একটি জামাআত সমতুল্য। যখন আপনি ব্যতীত হকের অনুসারী অন্য কোন লোক থাকবেনা, তখন আপনি একাই একটি জামাআত বলে গণ্য হবেন।