ঈমানের আবাদ ও সৎকর্ম প্রতিষ্ঠিত ঘর হতে আমরা এখন প্রস্থান করছি, অবশেষে আমরা যারা হিদায়েত চাই ও যারা মুক্তি চাই, তাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতই হবে নির্দশন, ও সুন্নাতইহবে তরীকা।
আমরা মহান উত্তরসূরীয় উলামাদের নিকট হতে এ মহা সুন্নাতী তরীকার অনুসরণের শিক্ষা ও আদর্শ গ্রহণ করি..। আশা করি আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তাঁর উত্তম অনুসরণ ও যথাযথ অনুকরণের তাওফীক দিবেন।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসরণীয় ইমাম আহমাদ বিন হান্বাল [রাহেমাহুল্লাহ] বলেন:
আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোন হাদীস লিখার পূর্বে তা নিজে আমল না করে লিখিনি। এমনকি আমার কাছে যখন এ হাদীসটি পৌঁছল: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিঙ্গা লাগিয়েছেন, এবং মজুরী স্বরূপ আবু তালহাকে এক দীনার দিয়েছেন।” অতএব, আমিও যখন সিঙ্গা লাগালাম তখন মজুরী স্বরূপ এক দীনার প্রদান করলাম।[1]
আব্দুর রহমান বিন মাহদী বলেন: আমি সুফিয়ানকে বলতে শুনেছি: আমার নিকট রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এমন কোন হাদীস পৌঁছেনি যার প্রতি আমি আমল করিনি, যদিও তা একবার হোক।
মুসলিম বিন ইয়াসার বলেন: আমি জুতা পরিহিত অবস্থায় সালাত আদায় করি। অথচ জুতা খুলা আমার জন্য খুব সহজ ছিল। এতে সুন্নাত বাস্তবায়ন করাই ছিল আমার মূল উদ্দেশ্য।[2]
পরিশেষে প্রিয় ভাইদেরকে মহান একটি হাদীস উপহার দিচ্ছি। আর তা হল: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন:
«كل أمتي يدخلون الجنة إلا من أبى» قالوا: يا رسول الله، ومن يأبى؟ قال: «من أطاعني دخل الجنة، ومن عصاني فقد أبى»
আমার সকল উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে, শুধু তারা ব্যতীত যারা অস্বীকার করবে। সাহাবারা জিজ্ঞাসা করল: হে আল্লাহর রাসূল! কারা অস্বীকারকারী? তিনি বল্লেন: যারা আমার অনুসরণ করবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে আর যারা আমার আবাধ্য হবে তারাই অস্বীকারকারী।[3]
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তোমার নবীর মুহাব্বাত দান করো এবং সরল ও সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অনুসরণের তাওফীক দান করো। পথভ্রষ্ট ও পথভ্রষ্টকারীদের পথে নয়।
হে আল্লাহ! দিবা-নিশি সব সময় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর রহমত বর্ষণ কর।
হে আল্লাহ! সমস্ত আবেদ ও সৎলোকে যত পরিমাণ রহমত কামনা করে, তার প্রতি সেই পরিমাণ রহমত বর্ষণ কর।
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে উচ্চ ফেরদাউসে একত্রিত করিও, এবং তাঁকে দেখিয়ে আমাদের চক্ষু শীতল করিও, এবং তাঁর হাউজ কাউসার থেকে পানি পান করাইও, যা এক বার পান করলে আর কখনো পিপাসিত হতে হবে না।
এবং নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর রহমত বর্ষণ করো এবং তাঁর পরিবারবর্গ, তাঁর সাহাবা ও সকল মুসলিমের উপর।
[2] আস সিয়ার: ৭/২৪২ ও ইমাম আহমাদের কিতাবুয যহদ ৩৫৫ পৃষ্ঠা
[3] বুখারী, হাদিস: ৭২৮০