ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
নবী (সা.) এর ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি সালাত বিষয়ে বিস্তারিত মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দিন আলবানী (রহ.)
النية নিয়ত প্ৰসঙ্গ[1]
তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেনঃ
إِنَّمَا الأعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى
অর্থঃ আমলসমূহ নিয়তের উপর নির্ভরশীল, আর প্রত্যেক ব্যক্তি তাই পাবে যা সে নিয়ত করবে।[2]
[1] ইমাম নববী “রওদাতুত তালিবীন” (১/২২৪) এ বলেনঃ নিয়ত অৰ্থ ইচ্ছা করা। তাই মুছাল্লী স্বীয় অন্তরে ছলাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি যেমন যহর, ফরয ইত্যাদি উপস্থিত করবে অতঃপর মনে মনে প্রথম তাকবীর (তাকবীর তাহরীমাহ)-এর সাথে সংযুক্ত করবে ঐসব বিষয়ের সংকল্পকে।
[প্রকাশ থাকে যে, কোন কোন সমাজে মুছাল্লায় দাঁড়িয়ে মুসাল্লার দু’আ হিসাবে “ইন্নী অজ্জাহতু....” পাঠ করা হয়। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ছলাত আদায়ের পদ্ধততে তাকবীরের পূর্বে এ দু’আ পাঠের কোন নিয়ম নেই। অতএব ইহা নাবীর তরীকা বহির্ভুত নবাবিষ্কৃত বিদ অ্যাত। হ্যাঁ, তবে ছহীহ হাদীছসমূহে শুরুর (ছানার) বহু দু আর মধ্যে অজ্জাহতু অজহিয়া.... এ দু'আটি রয়েছে যা তাকবীরের পরে পাঠযোগ্য, পূর্বে নয়। দেখুন আবু দাউদ ও তিরমিযী। অনুরূপভাবে তাকবীরের পূর্বে বা যে কোন আমল ও ইবাদতের পূর্বে জনৈক মৌলভী সাহেবদের রচিত গদবাধা আরবী বাক্য উচ্চারণের মাধ্যমে নিয়ত পড়ার যে প্রচলন দেখা যায়। যেমন “নাঅয়তু আন উছল্লিয়া... আতাঅযযা আ... ইত্যাদিও দ্বীনের ভিতর নতুন আবিষ্কৃত বিদআত। প্রচলিত নিয়ত পড়ার নিয়ম কুরআন হাদীছে নেই। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), ছাহাবাগণ, তাবিঈগণ, চারজন ইমামসহ ইসলামে নির্ভরযোগ্য কোন আলিম পড়েননি। অনুরূপভাবে ইমামের “আনা ইমামুল লিমান হাযারা অমান ইয়াহযুর” বলাও নবাবিষ্কৃত বিদ'আত। মূলতঃ নিয়ত বলতে ও পড়তে হয় না। নিয়ত করতে হয়।] (সম্পাদক)
[2] বুখারী, মুসলিম ইত্যাদি। হাদীছুটি “ইরওয়া” তে উদ্ধৃত হয়েছে (২২)।
[প্রকাশ থাকে যে, কোন কোন সমাজে মুছাল্লায় দাঁড়িয়ে মুসাল্লার দু’আ হিসাবে “ইন্নী অজ্জাহতু....” পাঠ করা হয়। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ছলাত আদায়ের পদ্ধততে তাকবীরের পূর্বে এ দু’আ পাঠের কোন নিয়ম নেই। অতএব ইহা নাবীর তরীকা বহির্ভুত নবাবিষ্কৃত বিদ অ্যাত। হ্যাঁ, তবে ছহীহ হাদীছসমূহে শুরুর (ছানার) বহু দু আর মধ্যে অজ্জাহতু অজহিয়া.... এ দু'আটি রয়েছে যা তাকবীরের পরে পাঠযোগ্য, পূর্বে নয়। দেখুন আবু দাউদ ও তিরমিযী। অনুরূপভাবে তাকবীরের পূর্বে বা যে কোন আমল ও ইবাদতের পূর্বে জনৈক মৌলভী সাহেবদের রচিত গদবাধা আরবী বাক্য উচ্চারণের মাধ্যমে নিয়ত পড়ার যে প্রচলন দেখা যায়। যেমন “নাঅয়তু আন উছল্লিয়া... আতাঅযযা আ... ইত্যাদিও দ্বীনের ভিতর নতুন আবিষ্কৃত বিদআত। প্রচলিত নিয়ত পড়ার নিয়ম কুরআন হাদীছে নেই। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), ছাহাবাগণ, তাবিঈগণ, চারজন ইমামসহ ইসলামে নির্ভরযোগ্য কোন আলিম পড়েননি। অনুরূপভাবে ইমামের “আনা ইমামুল লিমান হাযারা অমান ইয়াহযুর” বলাও নবাবিষ্কৃত বিদ'আত। মূলতঃ নিয়ত বলতে ও পড়তে হয় না। নিয়ত করতে হয়।] (সম্পাদক)
[2] বুখারী, মুসলিম ইত্যাদি। হাদীছুটি “ইরওয়া” তে উদ্ধৃত হয়েছে (২২)।