কোন এমন (বেগানা) কিশোরী বা মহিলার সাথে মুসাফাহাহ বৈধনয়, যার সাথে কোনও কালে আপনার বিবাহ বৈধ। ছোট থেকে যাদেরকে হয়তো আপনি কোলে-পিঠে মানুষও করেছেন এবং খালি গায়েও দেখেছেন তারা বড় হওয়ার পর ইসলামী বিধানে আপনার নিকট থেকে দূর হয়ে যাবে। যেমন চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো বোন, শালী ইত্যাদির সাথেও মুসাফাহাহ হারাম। আপনার শ্রদ্ধেয়া, আপনার চেয়ে অনেক বড় হলেও, আপনি তাকে মায়ের তুল্য মনে করলেও নিয়ত ভালো রেখেও ইসলামী বিধানে তার সাথেও দেখা-সাক্ষাৎ ও মুসাফাহাহ বৈধ নয়। আসলে কেবল মনে করে নেওয়ার ফলে কেউ কারো বোন বা মা হয়ে যায় না। যেমন কেবল মনে করার ফলে কেউ কারো স্ত্রী হতে পারে না। অর্থাৎ, যেমন কোন মহিলাকে স্ত্রী জ্ঞান করে তার সাথে স্ত্রীরূপ ব্যবহার করা যাবে না, ঠিক তেমনিই কাউকে আপন মা মেয়ে, বা বোন জ্ঞান করে মা, মেয়ে বা বোনের মত ব্যবহার ও দেখা-সাক্ষাৎ, উঠা-বসা ও সালাম-মুসাফাহাহ বৈধ হতে পারে না। অতএব ভাবী, চাচী, মামী, স্ত্রীর বড় বোন ইত্যাদিদেরকে আপনি আপন মা বা বোন ভাবুন। কিন্তু সেই ভাবাতে তাদের সাথে আপনার মুসাফাহাহ বৈধ হবে না। আপনার শিষ্য বা ছাত্রীকে নিজের মেয়ে ভাবুন, কিন্তু সে জন্য তার সাথে আপনার মুসাফাহাহ বৈধ নয়।
অনুরূপ কোন মহিলাও পারে না কোন বেগানা পুরুষ বা কিশোরের সাথে মুসাফাহাহ করতে। যদিও সে তাকে আপন বাপ, ছেলে বা ভাই মনে করে।
আল্লাহর রসূল (ﷺ) বায়আত করার সময়ও কোন মহিলার হাত স্পর্শ করেননি। প্রত্যেক (বেগানা) মহিলার সাথে তিনি কথা দ্বারা বায়আত করেছেন।[1] তিনি বলেছেন, ‘‘আমি মহিলাদের সাথে মুসাফাহাহ করি না।’’[2]
রাসুল (ﷺ) কাপড়ের উপর থেকে মহিলাদের সাথে মুসাফাহাহ করতেন বলে যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তা সহীহ নয়।[3] অতএব শাড়ি, ওড়না, দস্তানা বা হ্যা-কভারের পর্দার উপর থেকেও কোন বেগানা মহিলার সাথে মুসাফাহাহ বৈধ নয়। বৈধ নয় কোন বুড়ির সাথেও মুসাফাহাহ করা।
[2]. মুসনাদে আহমাদ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/ ২৬৪৬৬, তিরমিযী হা/১৫৯৭, নাসাঈ হা/ ৪১৮১, ইবনে মাজাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/২৮৭৪, মালেক ১৮৪২
[3]. সিলসিলাহ সহীহাহ ২/৫৩