ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম সালাত শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)
(২৬৬) নামাযরত অবস্থায় ভুলক্রমে আঙ্গুল ফুটালে কি নামায বাতিল হয়ে যাবে?

আঙ্গুল ফুটালে নামায বাতিল হয় না। কিন্তু এটি একটি অনর্থক কাজ। যা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। জামাআতের সাথে থাকলে নিঃসন্দেহে এতে অন্যান্য মুছল্লীর নামাযে ব্যাঘাত ঘটবে। তখন তা আরো ক্ষতিকর।

এ উপলক্ষ্যে আমি বলতে চাইঃ নামায অবস্থায় নড়াচড়া করা পাঁচভাগে বিভক্তঃ

১) ওয়াজিব ২) সুন্নাত ৩) মাকরূহ ৪) হারাম ৫) জায়েয।

ওয়াজিব নড়াচড়াঃ যেমনঃ নামায শুরু করেছে এমন সময় স্মরণ হল, তার টুপিতে নাপাকি রয়েছে। তখন টুপি খুলে ফেলার জন্য নড়াচড়া করা ওয়াজিব। একথার দলীল হচ্ছেঃ একদা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুতা পরে নামায আদায় করছিলেন। এমন সময় জিবরীল (আঃ) এসে তাঁকে সংবাদ দিলেন, তাঁর জুতায় নাপাকী রয়েছে। তিনি নামাযরত অবস্থাতেই জুতা খুলে ফেললেন এবং নামায চালিয়ে গেলেন।

সুন্নাত নড়াচড়াঃ নামায পরিপূর্ণ করার জন্য নড়াচড়া করা। যেমনঃ কাতারের ফাঁকা স্থান পূর্ণ করার জন্য নামায অবস্থায় সামনের কাতারে চলে যাওয়া বা ডানে-বামে পার্শ্ববর্তী মুছল্লীর কাছে সরে যাওয়া। এসবগুলো করা সুন্নাত।

মাকরূহ নড়াচড়াঃ অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া। যার সাথে নামাযের কোনই সম্পর্ক নেই।

হারাম নড়াচড়াঃ লাগাতার অধিকহারে নড়াচড়া করা। যেমনঃ দাঁড়ানো অবস্থায় অনর্থক কাজ করা, রুকূ অবস্থায় অধিকহারে নড়াচড়া করা, সিজদা বা বসা অবস্থায় অনর্থক নড়াচড়া করতে থাকা এমনকি এভাবে নামায শেষ করা। এধরণের নড়াচড়া হারাম। এর মাধ্যমে নামায বাতিল হয়ে যাবে।

জায়েয নড়াচড়াঃ যেমন শরীরের কোন স্থান চুলকানোর প্রয়োজন অনুভব করল। বা শরীর থেকে মশা-মাছি তাড়ানোর দরকার পড়ল.. ইত্যাদি ছোট-খাট বিষয় যা পরস্পর নয় এবং অধিকহারে নয় তা বৈধ।