বাড়িতে পরিজনের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা করুন। কারো আমানত বা ঋণ থাকলে প্রত্যর্পণ ও পরিশোধ করুন। কারণ, আপনি জানেন না যে, সফর শেষে বাড়ি ফিরতে পারবেন কি না? অতএব পরিজনকে আল্লাহর কাছে সঁপে দিয়ে আপনি তাঁরই উপর ভরসা করে ঘর থেকে বের হওয়ার দু‘আ পড়ুনঃ (ক)
بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ
উচ্চারণ- বিসমিল্লা-হ, তাওয়াক্কালতু আলাল্লা-হ, অলা হাওলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ।
অর্থঃ আল্লাহর নাম নিয়ে বের হচ্ছি, আল্লাহর উপর ভরসা করছি, আর আল্লাহর তওফীক ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার (নড়া-সরার) শক্তি কারো নেই।
এই দু‘আ পড়ে ঘর থেকে কোথাও বের হলে পাঠকারীর জন্য আল্লাহ যথেষ্ট হন, তাকে পথ নির্দেশ করা হয়, সকল প্রকার বিপদ থেকে রক্ষা করা হয় এবং শয়তান তার নিকট থেকে দূরে সরে যায়।[1]
খন্ড আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে এই দু‘আ পড়তে হয়,
اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ أَوْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ أَوْ أَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ
উচ্চারণ- আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা আন আয্বিল্লা আউ উয্বল্লা আউ আযিল্লা আউ উযাল্লা, আউ আযলিমা আউ উযলামা আউ আজহালা আউ য়্যুজহালা আলাইয়্যা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আমি ভ্রষ্ট হই বা আমাকে ভ্রষ্ট করা হয়, আমার পদস্খলন হয় বা পদস্খলন করানো হয়, আমি অত্যাচারী হই অথবা অত্যাচারিত হই অথবা আমি মূর্খামি করি অথবা আমার প্রতি মূর্খামি করা হয় -এসব থেকে।[2]
[2]. সহীহ তিরমিযী ৩/১৫২