নখ কাটা প্রকৃতিগত একটি সুন্নাত। নখ ছেড়ে রাখা বৈধ নয়। মানুষ একটি সভ্য জাতি। সে জাতি এবং বিশেষ করে কোন মুসলিম অসভ্য পশুর সদৃশ হতে পারে না।
হাতের নখ কাটার সময় প্রথমে ডান হাত ও পরে বাম হাতের নখ কাটতে হয়। পায়ের নখ কাটার সময় ডান পায়ের নখ আগে কাটতে হয়। তবে কোন আঙ্গুলের নখ আগে কাটতে হয়, তার কোন দলীল নেই। সর্বপ্রথম ডান হাতের কনিষ্ঠা, তারপর মধ্যমা, তারপর বৃদ্ধা, তারপর অনামিকা, তারপর তর্জনী, তারপর বাম হাতের বৃদ্ধা--- বলে যে পর্যায়ক্রম বর্ণনা করা হয়, তার কোন দলীল নেই। ইবনে দাক্বীক্বুল ঈদ বলেন, শরীয়তে এর কোন দলীল নেই। এইভাবে নখ কাটা মুস্তাহাব হওয়ার কথা বিশ্বাস করা জায়েয নয়। যেহেতু কোন কিছুকে মুস্তাহাব মনে করা শরয়ী বিধান। আর তা প্রমাণের জন্য দলীল জরুরী।[1]
নখ কাটার পর হাত ধোয়ায় যদি স্বাস্থ্যগত কোন উপকার থাকে, তাহলে তা করতে কোন বাধা নেই। কিন্তু তা সুন্নাত বা মুস্তাহাব মনে করে করলে তারও দলীল থাকা জরুরী।
প্রকাশ থাকে যে, জিহাদ ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নখ লম্বা রাখা হারাম নয়।[2]
[2]. কাশশাফুল ক্বিনা’ ১/৯৪-৯৫