আবহা সিটিতে আমি জুমুআর খুতবা দিতাম। আমার অধিকাংশ খুতবাই ছিল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। আর এটা কিছুটা আমার বৈশিষ্ট্যও হয়ে গিয়েছিল এবং এ কাজে আমি স্বস্তি (বা আরাম) বোধ করতাম।
ক্রমবর্ধমান সীমাহীন যৌতুক প্রবণতা সম্বন্ধে খুতবা দেয়ার জন্য একজন আমাকে অনুরোধ জানালেন। এই অনুরোধ অনুসারে কাজ করতে আমার মন টানছিল না। কারণ, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনী সম্বন্ধে কথা বলতে আমি বেশি আরাম (বা স্বস্তি) বোধ করতাম। তবুও অনুরোধকৃত বিষয়ের উপর আমি উপস্থিত বক্তৃতা দিলাম। আমি কুরআনের আয়াত ও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীসের উদ্ধৃতি দিলাম। আমি এলোমেলোভাবে, জোড়াতালি দিয়ে কোন রকমে বিষয়টি পূর্ণ করছিলাম; আর যখন আমি বক্তৃতা দিচ্ছিলাম তখন আমার কপাল বেয়ে ঘাম ঝরছিল। আমার খুতবা শেষ হওয়ার পর আমার মনে হয়েছিল যে, বিষয়টি সম্বন্ধে কথা বলে আমি এক যেনতেন কাজ করলাম এবং সেকারণেই আমি যে বিষয়ে চমৎকারিত্ব অর্জন করেছি সে বিষয়েই লেগে থাকার দৃঢ় সংকল্প করলাম।
“আর আমি ভানকারীদের অন্তর্ভুক্ত নই।” আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত যে ক্ষেত্রে সে দক্ষ সে ক্ষেত্রে কাজ করা। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنّ اللَّهَ تَعَالى يُحِبّ إِذَا عَمِلَ أَحَدُكُمْ عَمَلاً أَنْ يُتْقِنَهُ
“তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি নিখুঁতভাবে কোন কাজ করে নিশ্চয় আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।” (জামে ছগীর, হাদীস নং-১৮৬১, কানযুল উম্মল, হাদীস নং ৯১২৮)