দুটি বিষয় মানুষকে সুখী জীবন পরিচালনা করতে সাহায্য করে ১. রাগে আত্মসংযম । ২. আশা পূরণে আত্মসংযম।
প্রত্যেককে তার আশা পূরণে আত্মসংযমী হতে হবে। অন্যথায় তার আশা-আকাঙ্ক্ষা ও কামনা-বাসনা এতটা বেড়ে যাবে যে, সে সর্বদা পরিতৃপ্ত হতে চাইবে। ফলে সে ধ্বংস হয়ে যাবে। রাগ সম্বন্ধেও একই কথা বলা যেতে পারে। কেননা এটাও ধ্বংস করে দিতে পারে।
সকল কাজে যা প্রয়োজন তা হলো মধ্যম পন্থা। অতিরিক্ত শক্তি উগ্রতা, হিংস্রতা ও হত্যাকে সহজ করে তোলে। পক্ষান্তরে, যদি শক্তির ঘাটতি থাকে তবে কেউ অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে না। কিন্তু যখন কেউ শক্তিকে পরিমিতভাবে ব্যবহার করে তখন সে ধৈর্য, বীরত্ব ও প্রজ্ঞা ইত্যাদি গুণাবলীকে যথাস্থানে ও যথাসময়ে প্রদর্শন করতে পারে। একই কথা আশা-আকাঙ্ক্ষার জন্যও চলে। যদি অতিরিক্ত কামনা-বাসনা থাকে তবে শয়তানি ও লাম্পট্যতা প্রাধান্য পাবে। আর যদি খুব কম আশা-ভরসা থাকে তবে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়বে। যা হোক, আশা-আকাঙ্ক্ষা যদি পরিমিত পরিমাণে থাকে তবে চারিত্রিক পবিত্রতা ও পরিতৃপ্তি উভয়ই অর্জন করা যাবে। হাদীস শরীফে আছে-
عليكم هديا قاصدا
“তোমাদেরকে মধ্যমপন্থী হেদায়েত অনুসরণ করতে হবে।”
وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا
“আর এরূপে আমি তোমাদেরকে ন্যায়পন্থী জাতি বানিয়েছি।” - (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-১৪৩)