“এবং আমি আমার ব্যাপার আল্লাহর নিকট সোপদ করছি।” (৪০-সূরা আল মু'মিনঃ ৪৪)
“আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন বিপদই আসে না, আর যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে আল্লাহ তার অন্তরকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন।” (৬৪-সূরা আত তাগাবুনঃ আয়াত-১১)
যে ব্যক্তি বুঝে যে দুর্যোগ ভাগ্যের পূর্ব নির্ধারণী বা তকদীর অনুসারেই আসে আল্লাহ তার অন্তরকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
“তিনি (উম্মি নবী রাসূল আল্লাহর আদেশেই) তাদেরকে বোঝা মুক্ত করেন এবং সে শৃঙ্খল মুক্ত করেন যা তাদের উপর ছিল।” (৭-সূরা আল আ'রাফঃ আয়াত-১৫৭)
কার্সি মিয়ারসন, এলেক্সিস কারলাইল ও ডেল কার্নেগীর মতো কতিপয় পশ্চিমা লেখকগণও নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন যে, বস্তুবাদী মানসিকতা সম্পন্ন পতনশীল পাশ্চাত্যের রক্ষার একমাত্র উপায় হলো ইশ্বরের প্রতি ঈমান (বিশ্বাস)। তারা এ মতের ব্যাখ্যায় বলেন যে, পাশ্চাত্যের সদা বর্ধনশীল ভয়ংকর আত্মহত্যার ঘটনার পিছনে যে কারণ রয়েছে তা হলো নাস্তিকতা ও সব কিছুর প্রতিপালক ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের (বা ঈমানের) অভাব।
“যারা আল্লাহর পথ হতে বিপথগামী হয় তাদের জন্য রয়েছে ভীষণ শাস্তি, কেননা তারা বিচার দিবসকে ভুলে গেছে।” (৩৮-সূরা ছোয়াদঃ আয়াত-২৬)
وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَكَأَنَّمَا خَرَّ مِنَ السَّمَاءِ فَتَخْطَفُهُ الطَّيْرُ أَوْ تَهْوِي بِهِ الرِّيحُ فِي مَكَانٍ سَحِيقٍ
“আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক সাব্যস্ত করে সে যেন আকাশ থেকে পড়ে গেল। পাখি তাকে ছো মেরে নিয়ে যাবে বা বাতাস তাকে দূরে কোথাও উড়িয়ে নিয়ে যাবে।” (২২-সূরা আল হাজ্জঃ আয়াত-৩১)
আশশারকুল আওসাত (الشرق الاوساط)-এর ১৯৯৪ সালের কোন এক সংখ্যায় (২২তম সংস্করণের মূল আরবী পুস্তক মতে ২১-৪-১৪১৫ হি:) প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের স্ত্রীর সাথে এক সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। এতে তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি একাধিকবার আত্মহত্যা করার উদ্যোগ করেছিলেন। একবার তার আত্মহত্যার পদ্ধতি ছিল নিজেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা, আরেকবার তার আত্মহত্যার পদ্ধতি ছিল দূরারোহ খাড়া পাহাড়ের গায়ে গাড়ি চালিয়ে আত্মহত্যা করা (কিন্তু উভয়বারই তিনি আত্মহত্যা করতে ব্যর্থ হন। -অনুবাদক)
কুযমান উহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের পক্ষে ভীষণ যুদ্ধ করছিল। মুসলমানরা তার পক্ষে চিৎকার করে বলল, “তার জন্য রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ।” কিন্তু নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “নিশ্চয় সে জাহান্নামী”। কেন? যখন তার ক্ষতের ব্যথা সাংঘাতিক আকার ধারণ করল তখন সে ধৈর্য ধরতে পারল না, বরং নিজের তরবারী দিয়ে আত্মহত্যা করে ফেলল। (আর এভাবেই সত্য নবীর সত্য ভবিষ্যৎবাণী সত্যে পরিণত হলো ও সাথে সাথে একথাও স্পষ্ট হলো যে, “আত্মহত্যাকারী জাহান্নামী।" -অনুবাদক)
“এ দুনিয়ার জিন্দিগিতে তাদের প্রচেষ্টা বিনষ্ট হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তারা মনে করে যে তারা ভালোকাজ করেছে।” (১৮-সূরা আল কাহাফঃ আয়াত-১০৪)
“যে ব্যক্তি আমার জিকির থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল তার জন্য রয়েছে সংকটময় জীবন এবং কিয়ামতের দিন আমি তাকে অন্ধ অবস্থায় হাশরের মাঠে উঠাব।” (২০-সুরা ত্বাহাঃ আয়াত-১২৪)
সংকট বা কষ্ট যতই সাংঘাতিক হোক না কেন একজন প্রকৃত মুসলমান কিছুতেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় না।
অযু করে বিনয়-নম্রতা ও হুজুরী কলবের সাথে দুরাকাত (সালাতুল হাজত) সালাত আদায় করলে আপনার থেকে দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা দূর হওয়ার গ্যারান্টি আছে।
“অতএব, তারা যা বলে সে বিষয়ে তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে (ফজর), সূর্যাস্তের পূর্বে (আছর) রাতের বেলায় (মাগরিব ও এশা) ও দিবসের প্রান্তে (সূর্য হেলার পর জোহর) (সালাতের মাধ্যমে) তোমার প্রভুর প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। যাতে করে তুমি (এ কাজের ফলে তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে পুরস্কার পেয়ে) সন্তুষ্ট হতে পার।” (২০-সূরা ত্বাহাঃ আয়াত-১৩০)
পথভ্রষ্টদের প্রতি কুরআনে এক অকাট্য ও শক্তিশালী প্রশ্ন আছে।
“তাদের কি হলো যে তারা ঈমান আনে না?” (৮৪-সূরা আল ইনশিকাকঃ আয়াত-২০)
দলীল-প্রমাণ যখন স্পষ্ট তখন কিসে তাদেরকে ঈমান আনা থেকে পাশ কাটিয়ে (বিরত) রাখে?
“আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনসমূহ দিগন্তে দিগন্তে (অর্থাৎ গোটা বিশ্ব জগতে) দেখাব এবং তাদের নিজেদের মাঝেও দেখাব যাতে তাদের নিকট একথা স্পষ্ট হয়ে যায় যে এ কুরআন সত্য।” (৪১-সূরা হা-মীম-আস-সাজদাহঃ আয়াত-৫৩)
“আর যে সৎকর্মপরায়ণ (অবস্থায়) আল্লাহর নিকট আত্মসম্পর্ণ করবে সে তো দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে এক মজবুত হাতল।” (৩১-সূরা লোকমানঃ আয়াত-২২)