দুঃখ-কষ্ট-অভাব-অনটনের সময় দৃঢ় মনোবল নিয়ে স্বাভাবিক থাকতে পারেন এমন লোকের সংখ্যা নিতান্তই কম।
একথা আমাদেরকে অবশ্যই বিবেচনা করে দেখতে হবে যে, যদি আমি বা আপনি ধৈর্য না ধরি তবে আমাদের অন্য কী করার আছে? একথা স্পষ্ট যে, আমাদের ধৈর্য ধরা ছাড়া অন্য কিছুই করার নেই। আপনার কাছে কি অন্য কোন সমাধান আছে? ধৈর্যের চেয়েও ভালো কোন পথের কথা কি আপনার জানা আছে? দুঃখ-কষ্ট ও সমস্যার এক মহাসাগর পাড়ি দিতে হয়। জেনে রাখুন, এক সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়া মাত্রই আপনাকে আরেক সঙ্কটের মোকাবেলা করতে হবে। এই সার্বক্ষণিক সংঘর্ষের মধ্যে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ও আল্লাহতে দৃঢ় বিশ্বাস রেখে এগুতে হবে।
এটাই মহামানবদের পথ; দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে তারা সঙ্কটের মুকাবিলা করে সকল দুঃখ-কষ্ট ও সঙ্কটকে তারা ধরাশায়ী করে সফলতাকে অর্জন করেছেন।
অতএব, ধৈর্যশীল হোন ও জেনে রাখুন, আপনার ধৈর্য যেন একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হয়। তার মতো ধৈর্য ধরুন, যে আসন্ন শান্তির বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ী, যে জানে যে, এক শুভ পরিণতি আসবে। যে তার প্রভুর নিকট পুরস্কার চায়- এ আশায় যে, সমস্যা কবলিত হয়ে তার পাপের প্রায়শ্চিত হবে।
ধৈর্য ধরুন, সমস্যা যাই হোক না কেন আর সামনের পথ যতই অন্ধকার মনে হোক না কেন তাতে কিছু আসে যায় না। কেননা, ধৈর্যের সাথে অবশ্যই বিজয় আসবে আর দুঃখ-কষ্ট ও ক্লান্তির পরেই নেমে আসবে অনাবিল শান্তি।
অতীতের কতিপয় সফল ব্যক্তির জীবনী পাঠ করে আমি তাদের প্রদর্শিত ধৈর্যের সীমা দেখে, পর্বতসম বিশাল সমস্যার বোঝা বহন করার ক্ষমতা দেখে হতভম্ব হয়ে গেছি, এ বিশাল পর্বতসম সমস্যার বোঝা বহন করে তারা শুধু অধিকতর শক্তিশালী মানব হিসেবেই পুনঃ প্রকাশিত হয়েছেন। কনকনে ঠাণ্ডা বৃষ্টির দংশনের মতোই সংকট তাদের মাথার উপরে পতিত হয়েছে তবুও তারা পাহাড়ের মতোই দৃঢ় ছিলেন। তারপর অল্প সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেই তারা তাদের ধৈর্যের কারণে সফলতার পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।