১. তালবিয়া পাঠ হজ-উমরার শ্লোগান। কেননা তালবিয়া পাঠের মধ্য দিয়ে হজ ও উমরায় প্রবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। আবূ হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَمَرَنِيْ جِبْرِيْلُ بِرَفْعِ الصَّوْتِ فِي الإهْلاَلِ، فَإِنَّهُ مِنْ شِعَارُ الْحَجِّ».
‘তালবিয়াতে স্বর উঁচু করার জন্য জিবরীল আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ এটি হজের বিশেষ শ্লোগান।’[1]
যায়েদ ইবন খালিদ জুহানী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«أَتَانِيْ جِبْرِيْلُ فَقَالَ لِيْ : إِنَّ اللهَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَأْمُرَ أَصْحَابَكَ أَنْ يَّرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بَالتَّلْبِيَّةِ فَإِنَّهَا مِنْ شِعَارِالْحَجِّ».
‘জিবরীল আমার নিকট আসলেন অতপর বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ নির্দেশ দিচ্ছেন, যেন আপনি আপনার সাথীদেরকে নির্দেশ প্রদান করেন যে, তারা যেন তালবিয়া দ্বারা স্বর উঁচু করে। কারণ এটি হজের শ্লোগানভুক্ত।’[2]
২. তালবিয়া পাঠ হজ-উমরার শোভা বৃদ্ধি করে। ইবন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«لَعَنَ اللهُ فُلاَنًا عَمَدُوْا إِلَى أَعْظَمَ أَيَّامِ الْحَجِّ فَمَحَوْا زِيْنَتَهُ وَإِنَّمَا زِيْنَةُ الْحَجِّ التَّلْبِيَّةُ»
‘অমুকের ওপর আল্লাহর অভিশাপ! তারা হজের সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ দিনের ইচ্ছা করে তার শোভা মিটিয়ে দিল। আর নিশ্চয় হজের শোভা হল তালবিয়া।’[3]
৩. যে হজে উচ্চস্বরে তালবিয়া করা হয় সেটি সর্বোত্তম হজ। আবূ বকর রা. থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হল, কোন হজটি সবচে’ উত্তম? অন্য বর্ণনায় এসেছে, জিজ্ঞেস করা হল,
أَيُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ ؟ قَالَ : «الْعَجُّ ، وَالثَّجُّ».
‘হজের মধ্যে কোন আমলটি সবচে’ উত্তম ? তিনি বললেন, উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা এবং পশুর রক্ত প্রবাহিত করা।’[4]
৪. তালবিয়া পাঠকারির সাথে পৃথিবীর জড় বস্তুগুলোও তালবিয়া পড়তে থাকে। সাহল ইবন সা‘দ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَا مِنْ مُؤْمِنٍ يُلَبِّي إِلاَّ لَبَّى مَا عَنْ يَمِينِهِ ، وَعَنْ شِمَالِهِ ، مِنْ شَجَرٍ وَحَجَرٍ حَتَّى تَنْقَطِعَ الأَرْضُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا ، عَنْ يَمِينِهِ ، وَعَنْ شِمَالِهِ».
‘প্রত্যেক মু‘মিন ব্যক্তি যে তালবিয়া পড়ে তার সাথে তার ডান-বামের গাছ-পাথর থেকে নিয়ে সবকিছুই তালবিয়া পড়তে থাকে। যতক্ষণ না ভূপৃষ্ঠ এদিক থেকে ওদিক থেকে অর্থাৎ ডান থেকে এবং বাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।’[5]
[2]. তাবরানী : ৫১৭২।
[3]. মুসনাদ আহমদ : ১/২১৭ ।
[4]. তিরমিযী : ২৯২৪।
[5]. তিরমিযী : ১৬৫৬।