এ দু প্রান্তিক ধারার মাঝে ছিলেন সাহাবীগণের অনুসারী মুলধারার তাবিয়ী ও তাবি-তাবিয়ী আলিমগণ, যাঁরা ‘‘আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত’’ নামে পরিচিত। এ বিষয়ে তাঁদের মূলনীতি ছিল যে, কুরআন ও হাদীসে আল্লাহর যে সকল বিশেষণ বা কর্ম উল্লেখ করা হয়েছে তা সবকিছু সরল অর্থে বিশ্বাস করা। যুক্তিতর্ক দিয়ে এগুলোর প্রকৃতি হৃদয়ঙ্গমের চেষ্টা ও এগুলোকে মানবীয় বিশেষণের সাথে তুলনা করা যেমন নিষিদ্ধ তেমনি সৃষ্টির সাথে তুলনীয় হওয়ার ভয়ে এগুলো অস্বীকার বা ব্যাখ্যা করাও নিষিদ্ধ।
তাঁদের মতে গাইবী বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের একমাত্র নিশ্চিত উৎস ওহী। এক্ষেত্রে ‘আকল’ বা মানবীয় জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পূরক ও সহযোগী। ওহীর নিশ্চিত বক্তব্য এ সকল বিশেষণের কথা বলেছে এবং মানবীয় জ্ঞান-বুদ্ধি ও যুক্তিতে এগুলো অবাস্তব, অযৌক্তিক বা অসম্ভব নয়। কাজেই এগুলো সরল অর্থে বিশ্বাস করা আবশ্যক। ব্যাখ্যার নামে এগুলোর বাহ্যিক অর্থ অস্বীকার করা ওহী অস্বীকারের নামান্তর। ইমাম আযম এ পরিচ্ছেদে বিশেষণ বিষয়ে আহলুস সুন্নাতের এ আকীদা ব্যাখ্যা করেছেন।