স্বভাবতই ইলমুল আকীদার আলোচনা বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। আলোচনার বিষয়বস্ত্তর দিকে দৃষ্টি দিলে আমরা মৌলিক চারটি বিষয় দেখি:
প্রথমত: ‘আল-উলূহিয়্যাহ’ (الالوهية: godhead, godhood, divinity) অর্থাৎ মহান আল্লাহর সত্তা, বিশেষণ, মর্যাদা ইত্যাদি বিষয়।
দ্বিতীয়ত: ‘আন-নুবুওয়াত’ (النبوة: prophecy, prophethood)। অর্থাৎ নবীগণের পরিচয়, মর্যাদা, দায়িত্ব, তাঁদের প্রতি বিশ্বাসের স্বরূপ ইত্যাদি।
তৃতীয়ত: ‘আল-ইমামাহ’ (الإمامة: leadership of Muslim society and state)। অর্থাৎ মুসলিম রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের যোগ্যতা, মর্যাদা, দায়িত্ব ইত্যাদি।
চতুর্থত: ‘আল-আখিরাহ’ (الآخرة: the hereafter, the life after death)। অর্থাৎ মৃত্যু পরবর্তী জীবন, কবর, পুনরুত্থান, বিচার, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদি।
আকীদা বিষয়ক সকল আলোচনাই মূলত এগুলোকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। আর সকল আলোচনার উদ্দেশ্য সুন্নাতে নববীর অনুসরণ।
মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পদ্ধতিতে ও অনুকরণে আল্লাহর ইবাদতই ইসলাম। ইসলামী ইলমের সকল শাখার উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন: মুমিনের জীবনকে হুবহু রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর অনুসরণে পরিচালিত করা। ইলমুল ফিকহ-এর উদ্দেশ্য মুমিনের ইবাদত, মুআমালাত ও সকল কর্মকান্ড যেন অবিকল রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সাহাবীগণের আদলেই পালিত হয়। ইলমুত তাযকিয়া বা তাসাউফের উদ্দেশ্য মুমিনের হৃদয়ের অবস্থা যেন অবিকল তাঁদের পবিত্র হৃদয়গুলোর মত হয়ে যায়। অনুরূপভাবে ইলমুল আকীদা বা আল-ফিকহুল আকবারের উদ্দেশ্য মুমিনের বিশ্বাস যেন হুবহু তাঁদের বিশ্বাসের সাথে মিলে যায়।