দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পরবর্তী শতাব্দীর অনেক আলিম থেকে বর্ণিত যে, ইমাম আবূ হানীফা মুতাযীলী ও জাহমী আকীদার অনুসারী বা প্রবর্তক ছিলেন। আবার প্রাচীন ও আধুনিক কোনো কোনো আলিম অভিযোগ করেছেন যে, তিনি শীয়া মতবাদের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। এ সকল অভিযোগ সবই সনদগতভাবেই বাতিল। আর যদি কোনো আলিম থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত হয় যে, তিনি ইমাম আবূ হানীফাকে মুতাযিলী, জাহমী বা শীয়া মতবাদের অনুসারী বা তাদের প্রতি আকৃষ্ট বলে অভিযোগ করেছেন তবে তা উক্ত অভিযোগকারী আলিমের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত মিথ্যা বলে গণ্য হবে। কারণ:
প্রথমত: ইমাম আবূ হানীফার বিরোধীরা যাই বলুন না কেন, ইমাম আবূ হানীফার জীবদ্দশা থেকেই তাঁর আকীদা ও ফিকহ মুসলিম বিশ্বে বিস্তার লাভ করেছে। তাঁর শত শত ছাত্র তাঁর মত পালন ও প্রচার করেছেন, তাঁর গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করেছেন। বিরোধীদের সকল বিরোধিতা উপেক্ষা করে তাঁরা ইমামের আকীদা ও ফিকহ গ্রহণ, প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় রত থেকেছেন। যদি তিনি মুতাযিলী বা জাহমীদের কোনো আকীদা গ্রহণ করতেন তবে তাঁর ছাত্ররা অবশ্যই এগুলো প্রচার করতেন এবং এর পক্ষে কিছু বলতেন। অথচ বাস্তবে আমরা দেখছি যে, ইমাম আবূ হানীফার ছাত্র ও অনুসারীগণ এ সকল আকীদার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে সোচ্চার থেকেছেন।
দ্বিতীয়ত: ইমাম আবূ হানীফা তাঁর নিজের লেখায় এ সকল আকীদার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। কাজেই তাঁর বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগ মিথ্যা; অভিযোগকারী বা বর্ণনাকারী না জেনে বা জেনে মিথ্যা বলেছেন।