বয়স হলে চুল পাকা একটি প্রকৃতিগত ব্যাপার। কথিত আছে যে, এ জগতে সর্বপ্রথম চুল সাদা হয় হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর।
আল্লাহর ইচ্ছায় মানুষের চুল পাকে এবং তাতে মানুষের কাছে তার সম্মান বাড়ে। লোকেরা তাকে দেখে বড় ও মুরুব্বী বলে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে থাকে। আর ইসলামেও চুল পাকার বড় মাহাত্ম্য রয়েছে।
আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তির ইসলামে (জিহাদ, আল্লাহর ভয় প্রভৃতির কারণে) একটি চুল পাকে, সেই ব্যক্তির জন্য ঐ সাদা চুলটি কিয়ামতের দিন জ্যোতি হবে।’’[1]
তিনি আরো বলেন, ‘‘শুভ্র কেশ মুমিনের নূর (জ্যোতি)। ইসলামে যে ব্যক্তিরই একটি কেশ শুভ্র হবে, সেই ব্যক্তির প্রত্যেক শুভ্র কেশের পরিবর্তে একটি করে নেকী লাভ হবে এবং একটি করে মর্যাদায় সে উন্নীত হবে।’’[2]
আর সে জন্যই চুল পেকে গেলে তা তুলে বা ছিঁড়ে ফেলা বৈধ নয়। আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, ‘‘তোমরা শুভ্র কেশ তুলে ফেলো না। কেননা তা কিয়ামতের দিনে নূর (জ্যোতি) হবে। ইসলামে যে ব্যক্তির একটি কেশ শুভ্র হবে, সেই ব্যক্তির প্রত্যেক শুভ্র কেশের পরিবর্তে আল্লাহ তার জন্য একটি করে নেকী লিপিবদ্ধ করবেন, একটি করে গোনাহ ঝরিয়ে দেবেন এবং একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।’’[3]
[2]. ইবনে হিববান, বাইহাকীর শুআবুল ঈমান, সিলসিলাহ সহীহাহ আল-মাকতাবাতুশ-শামেলা. হা/১২৪৩
[3]. ইবনে হিববান, সহীহ তারগীব ২০৯৬