যে কোন ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মহিলার রাস্তায় বের হওয়া অথবা বেগানা কোন পুরুষের সামনে দিয়ে অতিক্রম করা আরেকটি কবীরা গুনাহ্ ও হারাম। চাই সে পুরুষ কাজের লোক হোক অথবা গাড়ি চালক। চাই সে পণ্য বিক্রেতা হোক অথবা দারোয়ান। চাই সে যুবক হোক অথবা বুড়ো। চাই সে বের হওয়া কোন ইবাদাত পালনের জন্য হোক অথবা এমনতিই ঘোরা-ফেরার জন্য।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
أَيُّمَا امْرَأَةٍ اسْتَعْطَرَتْ ثُمَّ مَرَّتْ عَلَى الْقَوْمِ لِيَجِدُوْا رِيْحَهَا فَهِيَ زَانِيَةٌ.
‘‘যে মহিলা কোন ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করে বেগানা কোন পুরুষের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলো; যেন তারা তার সুগন্ধি গ্রহণ করতে পারে তা হলে সে সত্যিই ব্যভিচারিণী’’। (সা’হী’হুল্ জা’মি’ ২৭০১)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:
أَيُّمَا امْرَأَةٍ تَطَيَّبَتْ ثُمَّ خَرَجَتْ إِلَى الْـمَسْجِدِ لِيُوْجَدَ رِيْحُهَا لَمْ يُقْبَلْ مِنْهَا صَلَاةٌ حَتَّى تَغْتَسِلَ اغْتِسَالَـهَا مِنَ الْـجَنَابَةِ.
‘‘কোন মহিলা সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদ অভিমুখে বের হলে; যাতে তার সুগন্ধি অন্য পুরুষের নাকে যায় তা হলে তার নামায কবুল করা হবে না যতক্ষণ না সে জানাবাতের গোসল তথা পূর্ণ পবিত্রতা অর্জন করে নেয়’’। (সা’হী’হুল্ জা’মি’ ২৭০১)
কোন মহিলা যদি যে কোন ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করে নিজ ঘর থেকে নামাযের জন্য মসজিদ অভিমুখে বের হলে সে নাপাক হয়ে যায়; যাতে করে তার নামায কবুল হওয়ার জন্য তাকে পূর্ণ পবিত্রতা অর্জন করতে হয় তা হলে যে মহিলা শুধু ঘোরা-ফেরার জন্য ঘর থেকে উৎকট সুগন্ধি ব্যবহার করে পার্ক বা নদীকূল অভিমুখে বের হয় সে আর কতটুকুই বা পবিত্র থাকতে পারবে। তাই তো এদের অনেককেই শুধু বিধানগত নাপাকই নয় বরং বাস্তবে নাপাক হয়ে ঘরে ফিরছে বলে পত্র-পত্রিকায় দেখা যায়। এরপরও কি তাদের এতটুকু চেতনাও ফিরবে না?!