ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
হজ সফরে সহজ গাইড হজ পরবর্তী কার্যাবলী মুহাম্মাদ মোশফিকুর রহমান
এবার ফেরার পালা
- আশা করা যায় আপনি আপনার ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়েছেন। আপনার জন্য কিছু কৌশলগত টিপস: আপনার মালামাল যদি বেশি হয় তাহলে আপনার মেইন লাগেজের ওজন এয়ারলাইনসের নিয়মানুসারে ৩০/৪০ কেজি করুন। অতিরিক্ত ওজন করবেন না কারণ এর জন্য আপনাকে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হবে। আর দুই/তিনটি ছোট হ্যান্ড ব্যাগ নিতে পারেন, এতে সবমিলে সর্বোচ্চ ১৫/২০ কেজি পর্যন্ত ওজন করা যাবে। যদিও বিমানে ভিতর বহনের জন্য আদর্শ ওজন হলো ৭/১০ কেজি, হজের সময় এ বিষয়গুলো এয়ারলাইনস খেয়াল করে না ও কিছুটা ছাড় দেয়। অনেকের ব্যাগে কম ওজনের মালামাল থাকে, তাদের ব্যাগেও কিছু মালামাল দিয়ে দিতে পারেন। যমযম পানি পাওয়ার বিষয়টি আপনার এজেন্সির সাথে কথা বলে জেনে নিন কিভাবে ব্যবস্থা করে নেওয়া যাবে।
- বিমানের শিডিউল বিলম্বের কারণে ফিরতি যাত্রা পরিকল্পনা মাফিক নাও হতে পারে, সেজন্য অস্থির না হয়ে ধৈর্য ধারণ করুন। প্রথমে আপনার এজেন্সির পরিবহণে করে মু‘আল্লিম অফিসে নিয়ে যাবে। আপনার এজেন্সি আপনাদের সবার পাসপোর্ট মু‘আল্লিম অফিস থেকে ফেরত নেবে এবং এরপর বিমানবন্দরে নিয়ে যাবে। জেদ্দা বিমানবন্দরে ওয়েটিং প্লাজায় অপেক্ষা করতে হতে পারে। আপনার এজেন্সি চেক করবে যে শিডিউল অনুসারে আপনাদের বিমান আছে কি না। বিমান আসতে দেরি হলে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।
- আপনার পাসপোর্টের ট্রাভেল স্টিকার যদি থেকে যায় তবে তা উঠিয়ে ব্যাংক কাউন্টার থেকে ৩০/৬০ সৌদি রিয়াল উঠিয়ে নিতে পারেন।
- এবার এয়ারলাইন্সের লাগেজ ওজন কাউন্টারে আপনার মেইন লাগেজটি জমা দিন। এখান থেকে আপনি বোর্ডিং পাস পাবেন। এটি যত্ন করে রেখে দিন। কিছু এয়ারলাইন্স হোটেল থেকেই লাগেজ নিয়ে কার্গোতে তুলে দেয়।
- এবার ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাবেন। এখান থেকে প্রত্যেক হজ যাত্রীকে এক কপি করে কুরআন শরীফ দেওয়া হবে। এক কপি নিয়ে নেবেন অথবা কাউকে জিজ্ঞেস করুন যে কোথা থেকে কুরআন সংগ্রহ করতে হবে। এ বছর (২০১৫) থেকে বাংলা ভাষাতেও কুরআনের অনুবাদ ও তাফসীর পাবেন ইন-শাআল্লাহ।
- ইমিগ্রেশন শেষে টার্মিনাল ভবনে প্রবেশ করবেন। এবার আপনার দেহ ও ছোট হ্যান্ড ব্যাগ স্ক্যান করা হবে। মনে রাখবেন ব্যাগে বডি স্প্রে, লোশন, ওজন পরিমাপক যন্ত্র, চাকু ও কাঁচি রাখবেন না। এগুলো নিয়ে নেবে।
- এবার বোর্ডিং পাস দেখিয়ে ওয়েটিং জোনে প্রবেশ করুন। বিমান আসলে লাইনে দাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে বিমানে উঠবেন। আপনার নির্দিষ্ট আসনে অথবা যে কোনো আসনে বসে পড়ুন, কারণ বিমান ক্রু যাত্রী সংখ্যা গণনা করবে।
রানওয়েতে বিমান চলা শুরু করলে ক্রুর দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করুন এবং সিট বেল্ট বেঁধে নিয়ে বিমান উড্ডয়নের অপেক্ষা করুন। এবার বিমানযাত্রা এবং অভ্যন্তরীণ আতিথেয়তা উপভোগ করুন।