ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
হজ সফরে সহজ গাইড প্রারম্ভিকা ও প্রস্তুতি মুহাম্মাদ মোশফিকুর রহমান
বিমানের ভেতরে
- বিমানে উঠে আপনার নির্দিষ্ট আসন অথবা যদি ফ্রি সিটিং বলা হয় তখন যে কোনো আসনে আসন গ্রহণ করুন। আপনার মাথার উপরের বক্সে আপনার ছোট হাত ব্যাগটি রাখুন।
- বিমানে উাঠার পর আপনার পরিচিতজনদের ফোন করে আপনার অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করুন ও এরপর মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখুন অথবা উড্ডয়নের আগে এয়ারপ্লেন মোড দিয়ে রাখুন। আপনার সিটটি সোজা করে রাখুন এবং সিট বেল্ট বেঁধে নিন। এখন যাত্রা পথের দো‘আটি পড়তে পারেন।
- বিমানের ক্রুদের ঘোষিত নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। বিমান ক্রু যখন যাত্রী সংখ্যা গণনা করবেন তখন আপনি সিটে বসে থাকুন।
- সাধারণত হজ ফ্লাইটে ২তলা বিশিষ্ট বোয়িং ৭৪৭/৭৭৭ বিমান ব্যবহৃত হয়। এক একটি বিমান ৪৫০-৫৫০ জন যাত্রী বহন করতে পারে।
- বিমান উড্ডয়নের পর সিট বেল্ট খুলে সিটটি পিছনের দিকে হেলে দিয়ে আরাম করে বসুন অথবা ঘুমিয়ে যান। মনে মনে দো‘আ ও যিকির করুন।
- বিমান সাধারণত ৬০০ মাইল/ঘন্টা বেগে ভূপৃষ্ঠ হতে ৩০,০০০ ফুট উপর দিয়ে উড়ে যাবে। সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দর পৌছাতে সময় লাগে সাধারণত ৫-৬ ঘন্টা।
- বিমানের ১বার লাঞ্চ/ডিনার ও ১বার হালকা খাবার পরিবেশন করা হবে।
- বিমানের ওয়াশরুমে বিমানে পানি খুবই সীমিত তাই পানি বেশি খরচ করবেন না। ওয়াশরুমে অযু করবেন না এবং কমোডের ভিতরে টিস্যু ফেলবেন না।
- সালাতের জন্য বিমানে তায়াম্মুম করবেন। এজন্য মাটির ইট দেওয়া হবে।
- বিমান কোনো মীকাতের কাছাকাছি চলে এলে বিমান ক্রুরা আগেভাগেই জানিয়ে দেবেন। যারা প্রথমে মক্কায় যাবেন, তারা তখন মীকাত থেকে ইহরাম করবেন বা উমরাহর নিয়ত করবেন। এরপরই উমরাহ অধ্যায় থেকে আপনি ইহরাম ও উমরাহ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
- জেদ্দা বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের পর আপনি ছোট হাত ব্যাগ নিয়ে নিচে নেমে যাত্রীদের ওয়েটিং লাউঞ্জে/অপেক্ষা কক্ষে গিয়ে বসুন।
- মদীনাতেও বিমানবন্দর আছে। আপনার হজ এজেন্সি যদি প্রথমে মদীনা যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে হজ ফ্লাইটের শিডিউল মদীনা বিমানবন্দরেও নিতে পারেন তবে মদীনা যাওয়া সহজ হয়।