উত্তর: এ ব্যাপারে আমাদের কথা হলো, যে ব্যক্তি আকীদার স্বাধীনতার দাবী করে এবং যে কোনো দীনে বিশ্বাসের অধিকার রাখে বলে মনে করে, সে কাফির। কারণ, যে ব্যক্তি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দীন ব্যতীত অন্য দীন গ্রহণ করা বৈধ মনে করে, সে কাফিরে পরিণত হবে। তাকে তাওবা করতে বলা হবে। তাওবা না করলে তাকে হত্যা করা ওয়াজিব।
দীনের বিষয় চিন্তাপ্রসূত বিষয় বা কোনো মতবাদ নয়। এটা আল্লাহর অহী, যা আল্লাহ তাঁর নবীদের উপর নাযিল করেছেন যেন মানুষ তার অনুসরণ করতে পারে। ইসলাম একটি চিন্তাধারা, খৃষ্ট ধর্ম একটি চিন্তা ধারা এবং ইয়াহূদীবাদ একটি চিন্তা ধারা এভাবে ব্যাখ্যা করার অর্থ এই যে, আসমানী শরী‘আতসমূহ নিছক মানবীয় চিন্তাপ্রসূত বিষয়। আসমানী দীনসমূহ আল্লাহর পক্ষ থেকে অহী স্বরূপ আগমণ করেছে।
মোটকথা, যে ব্যক্তি এ বিশ্বাস করবে যে, সে নিজের খেয়াল-খুশী মত যে কোনো দীনে বিশ্বাস করতে পারে, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। আল্লাহ বলেন,
﴿وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ﴾ [ال عمران: ٨٥]
“যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য দীন গ্রহণ করবে, তার কাছ থেকে তা গ্রহণ করা হবে না।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫]
আল্লাহ বলেন,
﴿إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلۡإِسۡلَٰمُۗ﴾ [ال عمران: ١٩]
“ইসলাম আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত ধর্ম।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯]
সুতরাং ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দীন গ্রহণ করা জায়েয নেই। যে ব্যক্তি তা করবে আলিমগণ তাকে সুস্পষ্ট কাফির হিসেবে ফাতওয়া দিয়েছেন।