ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
আর-রাহীকুল মাখতূম খায়বার ও ওয়াদিল কুরা যুদ্ধ (মুহাররম, ৭ম হিজরী) غَزْوَةُ خَيْبَرَ وَوَادِيْ الْقُرٰي (‏في المحرم سنة ٧ هـ)) আল্লামা সফিউর রহমান মোবারকপুরী (রহঃ)
যুদ্ধ প্রস্তুতি এবং খায়বার বিজয়ের সুসংবাদ (التَّهيؤُ لِلْقِتَالِ وَبَشَارَةُ الْفَتْحِ):

যে রাত্রিতে নাবী কারীম (ﷺ) খায়বার সীমানায় প্রবেশ করলেন তখন তিনি বললেন,

(‏لَأَعْطِيَنَّ الرَّايَةَ غَدًا رَجُلاً يُحِبُّ اللهَ وَرَسُوْلَهُ وَيُحِبُّهُ اللهُ وَرَسُوْلُهُ، ‏[‏يَفْتَحُ اللهُ عَلٰى يَدَيْهِ ‏]‏‏)‏

‘আগামী কাল আমি এমন এক ব্যক্তির হাতে পতাকা প্রদান করব, যিনি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর প্রতি ভালবাসা রাখেন এবং যাঁকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ভালবাসেন।’

রাত্রি শেষে যখন সকাল হল তখন সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হলেন। প্রত্যেকেরই আশা পতাকা তাঁর হাতেই আসবে। রাসুলে কারীম (ﷺ) বললেন, আলী ইবনু আবূ তালেব কোথায়? সাহাবীগণ (রাঃ) বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! তাঁর চোখের পীড়া হয়েছে’’।[1]

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘তাঁকে ডেকে নিয়ে এসো।’ তাঁকে ডেকে আনা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজ মুখ থেকে লালা নিয়ে তা তাঁর চোখে লাগিয়ে দিয়ে দু‘আ করলেন। তিনি এমনভাবে আরোগ্য লাভ করলেন, যেন তাঁর পীড়াজনিত কোন যন্ত্রনা ছিল না। অতঃপর তাঁর হাতে পতাকা প্রদান করা হল। তিনি আরয করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমি তাদের সঙ্গে ঐ সময় পর্যন্ত যুদ্ধ করব যে, তারা আমাদের মতো হয়ে যাবে।’’

নাবী কারীম (ﷺ) বললেন,

‏(‏اُنْفُذْ عَلٰى رِسْلِكَ، حَتّٰى تَنْزِلَ بِسَاحَتِهِمْ، ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ، وَأَخْبِرْهُمْ بِمَا يَجِبُ عَلَيْهِمْ مِنْ حَقِّ اللهِ فِيْهِ، فَوَاللهِ، لَأَنْ يَّهْدِيَ اللهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَّكَ مِنْ أَنْ يَّكُوْنَ لَكَ حُمْرُ النِّعَمِ‏)‏‏.‏

‘শান্তির সঙ্গে চল এবং তাদের ময়দানে অবতরণ কর। অতঃপর তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দাও এবং ইসলামের মধ্যে আল্লাহর যে সমস্ত প্রাপ্য রয়েছে যা তাদের কর্তব্য সে সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত কর। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের মাধ্যমে যদি এক জনকেও হিদায়াত দেন তাহলে তোমাদের জন্য তা লাল উটের চাইতেও উত্তম হবে।[2]

[1] সেই অসুখের কারণে তিনি পিছনে পড়েছিলেন, অতঃপর গিয়ে সৈন্যদের সঙ্গে মিলিত হলেন।

[2] সহীহুল বুখারী খায়বার যুদ্ধ ২য় খন্ড ৯০৫-৬০৬ পৃঃ, কোন কোন বর্ণনা সূত্রে জানা যায় যে, খায়বারের একটি দূর্গ বিজয়ে একাধিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর আলী (রাঃ)-কে পতাকা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞগণের নিকট গ্রহণযোগ্য হচ্ছে সেটাই যা উপরে উল্লেখিত।