১। আপনি উল্লেখিত আয়াতসমূহ ও দু'আ পড়ে ঝাড়বেন। তবে যদি রোগী বেহুশ হয়ে পড়ে আর জ্বিন কথা বলতে থাকে তবুও সেই পূর্বের উল্লেখিত পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
২। আর যদি রোগী বেহুশ না হয় আর শরীরে অন্য ধরণের পরিবর্তন অনুভব করে তবে তাকে নিম্নের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলতে হবেঃ
১ । সকল নামায সঠিক সময়ে পড়ার পাবন্দি থাকতে হবে।
২ । গান-বাজনা থেকে বেঁচে চলতে হবে।
৩। শুয়ার পূর্বে অযু করে আয়াতুল কুরসী পড়ে নিবে।
৪ । দু'হাত তুলে শুয়ার পূর্বে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে হাতে ফুঁ দিয়ে সমস্ত শরীর স্পর্শ করবে (এমনটি তিনবার করবে)
৫ । আয়াতুল কুরসী এক ঘন্টার ক্যাসেটে বার বার রেকর্ড করে দৈনিক একবার শুনবে ।
৬। অন্য একটি এক ঘণ্টার ক্যাসেটে বার বার সূরা ফালাক, নাস ও ইখলাস রেকর্ড করে দৈনিক কমপক্ষে একবার শুনবে।
৭। পূর্বে বর্ণিত কুরআনের আয়াতসমূহ ও দু'আ পড়ে পানিতে ফু দিয়ে রোগীকে পান করতে বলবে এবং সেই পানি দিয়ে গোসল করাবে এই কাজটি তিন দিন করবে। আর গোসল কোন পবিত্র স্থানে করবে।
৮ । রোগী অবশ্যই ফজরের নামাযের পর দৈনিক (لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ) একশ’বার পড়বে।
৯। শরয়ী পর্দা মেনে চলবে।
এই আমল এক মাস পর্যন্ত করবে। এরপর দু'টি অবস্থার একটি হবেঃ
ইনশাআল্লাহ হয়ত সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে অথবা তার কষ্ট বৃদ্ধি পাবে এবং কুরআন পড়ে রোগীকে ঝাড়লে বেহুশ হয়ে যাবে। এমন অবস্থায় পূর্বের বর্ণিত পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।