এটা এমন এক বিষয় যা আমি ফরজ মনে করি মুসলিম রমনীদের জানানো। কথা হল যে, প্রত্যেক নারীই তার স্বামীর ভালবাসা পাওয়ার জন্যে বৈধ যাদু বা পন্থা অবলম্বন করতে পারে।
যেমন স্ত্রী তার স্বামীর জন্যে নিজেকে সুসজ্জিত ও পরিপাটি করে রাখবে, স্বামীর সাথে মিষ্টি কথা বলবে, অনুরূপ ফুটন্ত মুচকি হাসি উত্তম ব্যবহার করবে। যাতে তার স্বামী এদিক সেদিক দৃষ্টি না দেয়; বরং নিজের স্ত্রীর দ্বারাই প্রভাবিত থাকে। এছাড়া স্বামীর সম্পদের হেফাযত করবে, তার সন্তানদের যত্ন নিবে। আল্লাহর অবাধ্যতায় ব্যতীত স্বামীকে মান্য করে চলবে; কিন্তু আজকের বিশ্বে দৃষ্টি দিলে সম্পূর্ণই এর বিপরীত দেখতে পাওয়া যায়।
কোন মহিলা কোন অনুষ্ঠানে গেলে অথবা নিজের বান্ধবীদের সাক্ষাতে গেলে এমন ভাবে সাজ-গোছ করে ও গয়না পরে, যেন সে বাসর রাতের বধু। অতঃপর যখন সে সেখান হতে ফিরে আসে সম্পূর্ণরূপে তা খুলে স্বীয় স্থানে রেখে পরবর্তী অনুষ্ঠানের অপেক্ষায় থাকে অথচ তার স্বামী বেচারা যে তার জন্য এসব বস্ত্র ও গয়না ক্রয় করেছে সে বঞ্চিতই থেকে যায় তা উপভোগ করা হতে। সে তাকে গৃহে সেই পুরাতন পোশাকেই পায়, যা হতে পিয়াজ ও রসুন ও পাকের দুর্গন্ধই বের হয়। নারী যদি জ্ঞান করে তবে সে অবশ্যই বুঝবে যে, নিশ্চয়ই তার স্বামীই তার সাজ-সজ্জা ও সৌন্দর্য উপভোগের অগ্রাধিকারী। সুতরাং তোমার স্বামী যখন কাজের জন্য বেরিয়ে যায়, তখন দ্রুত তুমি ঘরের কাজ-কর্ম সেরে গোসল করে, সৌন্দর্য ও সুসজ্জিত হয়ে তার অপেক্ষায় থাক। স্বামী কর্ম হতে ফিরলে তাকে মুচকি হাসি দিয়ে অভ্যর্থনা জানাও। সে যখন গৃহে প্রত্যাবর্তন করে তার সুন্দরী স্ত্রীকে সামনে পাবে, পানাহারও প্রস্তুত, ঘর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, তবে অবশ্যই তার ভালোবাসা তোমার প্রতি অনেক গুণে বেড়ে যাবে। আল্লাহর শপথ! এটিই তোমার জন্য বৈধ যাদু হিসেবে পাবে। বিশেষ করে তুমি যদি তোমার সৌন্দর্য গ্রহণের নিয়ত কর আল্লাহর হুকুমের অনুসরণ তারপর স্বামীর দৃষ্টিশক্তি অবনমিত করা। কেননা পরিতৃপ্ত কখনও খাদ্যের আগ্রহ রাখে না; বরং যে তা হতে বঞ্চিত সেই আগ্রহ রাখে। এ মূল্যবান কথাটির প্রতি একটু দৃষ্টি দিবে।