রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর জীবনে আমরা বহু মু‘জেযার কথা জেনেছি। যার সবই ছিল তাঁর জীবদ্দশায় এবং তাঁর মৃত্যুর সাথে সাথে সেগুলির বিলুপ্তি ঘটেছে। যেমন পূর্বের নবীগণের বেলায় ঘটেছে। তাওরাত, যবূর, ইনজীল প্রভৃতি পূর্বেকার কিতাব সমূহ পরিবর্তিত ও বিকৃত হয়ে গেছে। কিন্তু রাসূল (ছাঃ)-এর ইন্তেকালের পরেও যে মু‘জেযা জীবন্ত হয়ে আছে এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত থাকবে, তা হ’ল তাঁর আনীত কালামুল্লাহ আল-কুরআনুল হাকীম। বিশ্ব মানবতার চিরন্তন পথপ্রদর্শক হিসাবে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ যা দুনিয়াবাসীর জন্য তাঁর শেষনবীর মাধ্যমে প্রেরণ করেছেন। যতদিন মানুষ ঐ আলোক স্তম্ভ থেকে আলো নিবে, ততদিন তারা পথভ্রষ্ট হবে না। যা মানব জাতির আমানত হিসাবে রক্ষিত আছে এবং চিরকাল থাকবে। যতদিন পৃথিবী থাকবে, মানবজাতি থাকবে, ততদিন কুরআন থাকবে অবিকৃত ও অক্ষুণ্ণভাবে। একে বিকৃত করার বা বিলুপ্ত করার ক্ষমতা কারু হবে না। রাসূল (ছাঃ)-এর ২৩ বছরের নবুঅতী জীবনের বাঁকে বাঁকে বাস্তবতার নিরিখে আসমানী তারবার্তা হিসাবে কুরআন নাযিল হয়েছে পরম্পরাগতভাবে। নুযূলে কুরআনের শুরু থেকে নবুঅতের শুরু এবং নুযূলে কুরআনের সমাপ্তিতে নবী জীবনের সমাপ্তি। তাই নবীচরিত আলোচনায় কুরআনের আলোচনা অবশ্যম্ভাবীরূপে এসে পড়ে। শেষনবী (ছাঃ) চলে গেছেন। রেখে গেছেন কুরআন। কিন্তু কি আছে সেখানে? এক্ষণে আমরা কুরআনের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্যাবলী সংক্ষেপে তুলে ধরার প্রয়াস পাব।