ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code
নবীদের কাহিনী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) - মাদানী জীবন ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
পরিত্যক্ত সম্পদ (ميراث النبى صــ)

 আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় ওফাতের পর দীনার-দিরহাম, বকরী-উট কিছুই রেখে যাননি। তিনি কোন কিছুর অছিয়তও করে যাননি।[1] আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, (আমার মৃত্যুর পর) আমার ওয়ারিছগণ কোন দীনার ভাগ-বণ্টন করবে না। আমি যা রেখে যাব (অর্থাৎ বনু নাযীরের ফাই এবং খায়বরের ফাদাক খেজুর বাগান) স্ত্রীদের খোরপোষ এবং আমার ‘আমেল (কর্মচারী)-দের ব্যয় নির্বাহের পর তা সবই ছাদাক্বা হবে।[2] উম্মুল মুমিনীন জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারেছ-এর ভাই ‘আমর ইবনুল হারেছ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) তাঁর মৃত্যুকালে কোন দীনার-দিরহাম, দাস-দাসী বা অন্য কিছুই ছেড়ে যাননি। কেবল তাঁর সাদা খচ্চর, অস্ত্র ও (ফাদাকের) জমিটুকু ব্যতীত। যা তিনি ছাদাক্বা করে যান।[3] এর অর্থ হ’ল সংসারের ব্যয় নির্বাহের পর উদ্বৃত্তগুলি ছাদাক্বা হবে (ফাৎহুল বারী, ঐ)। আবুবকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,إنَّا مَعْشَرَ الأَنْبِيَاءِ لاَ نُوْرِثُ مَا تَرَكْنَاهُ صَدَقَةٌ ‘আমরা নবীগণ কোন ওয়ারিছ রেখে যাই না। যা কিছু আমরা ছেড়ে যাই, সবই (উম্মতের জন্য) ছাদাক্বা হয়ে যায়’।[4] তাঁর মৃত্যুর পর ফাতেমা (রাঃ) ফাদাক-এর উত্তরাধিকার দাবী করলে অত্র হাদীছ শোনার পর তা প্রত্যাহার করে নেন। যদিও শী‘আরা এজন্য আবুবকর (রাঃ)-কে দায়ী করে থাকে। অথচ আলী (রাঃ) খলীফা হওয়ার পরেও তিনি উক্ত দাবী করেননি।

[1]. মুসলিম ১৬৩৫ (১৮); মিশকাত হা/৫৯৬৪; ঐ, বঙ্গানুবাদ হা/৫৭২১। আলবানী মিশকাতের অত্র ক্রমিক সংখ্যাটি দু’বার এসেছে। ফলে এখান থেকে শেষ পর্যন্ত ভুল ক্রমিক দেওয়া হয়েছে। সঠিক গণনা মতে ৫৯৬৪-এর স্থলে ৫৯৭৩ হবে।

[2]. বুখারী হা/২৭৭৬; মুসলিম হা/১৭৬০; মিশকাত হা/৫৯৬৬; ঐ, বঙ্গানুবাদ হা/৫৭২৩।

[3]. বুখারী হা/২৭৩৯; মিশকাত হা/৫৯৬৫।

[4]. মুসলিম হা/১৭৫৭; মিশকাত হা/৫৯৬৭; বঙ্গানুবাদ হা/৫৭২৪; নাসাঈ হা/৬৩০৯; কানযুল ‘উম্মাল হা/৩৫৬০০।